কার্তিকের শুরুতেই কৃষকের ঘরে নতুন ধান

  • গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়ায় কার্তিক মাসের শুরুতেই কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেছে নতুন ধান। ধানের ফলন ভাল হওয়ায় দাম কম হলেও কৃষকেরা বেশ খুশি। কৃষকরা বলছেন জমি ফেলে রাখার চাইতে আগাম চাষ করে ঘরে তুলে সেই জমিতে রবি শস্য আলু অথবা সরিষা চাষ করবেন। অগ্রহায়ণ মাসের শুরু থেকে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে জেলার ১২ টি উপজেলায়।

জেলার পশ্চিম অঞ্চলের নন্দীগ্রাম, কাহালু ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় আগাম চাষ করা বিনা-৭ ও মিনিকেট ধানের চাষ করা হয় সবচেয়ে বেশি। চারা রোপণের ১০০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে ধান ঘরে তুলতে পারার কারণে এই অঞ্চলের কৃষকরা গত ৫ বছর ধরে বিনা-৭ ধানের চাষ করে আসছেন।আর মিনিকেট ধানের চাষ হয় দীর্ঘদিন ধরে। ধান চিকন হওয়ায় বিনা-৭ ও মিনিকেট ধানের চাউলের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।

বিজ্ঞাপন

জেলার পশ্চিম অঞ্চলের উপজেলার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ২০ ভাগ জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। কার্তিক মাসে এ অঞ্চলে মাঠে তেমন কাজ না থাকায় শ্রমিক সংকটও নেই। এ কারণে মাঠে পেকে যাওয়া ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষক।

নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, দেড় বিঘা জমিতে বিনা-৭ জাতে ধান চাষ করা হয়েছে। আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহে চারা রোপণ করে কার্তিক মাসের শুরুতেই ধান কেটে ঘরে তুলছেন। দেড় বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আশা করা যাচ্ছে কাটা মাড়াই শেষে ২৭-২৮ মন ধান ঘরে তুলবেন।

বিজ্ঞাপন
ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

একই গ্রামের কৃষক নুর আলম মিনিকেট ও বিনা-৭ জাতের ধান চাষ করেছেন। তিনি বলেন, বন্যা মুক্ত এবং সার বীজ সহজ লভ্য হওয়ায় জমি ফেলে না রেখে ধান চাষ করেছেন। বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় লাভ বেশী হবে না উল্লেখ করে কৃষক নুর আলম বলেন ধান কেটে জমিতে রবি শস্য আলু অথবা সরিষা চাষ করবেন।

ধান চাষের জন্য প্রসিদ্ধ জেলার পশ্চিম অঞ্চলের হাট-বাজার গুলোতে আগাম জাতের নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা মণ দরে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মশিদুল হক বার্তা টোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমন মৌসুমে এবার ভাল ফলন হয়েছে। এই উপজেলায় ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের বিনা-৭ ও মিনিকেট ধানের চাষ হয়েছে।