চুয়াডাঙ্গায় বাংলার প্রভাষক দেখছেন আরবি খাতা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চুয়াডাঙ্গা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসায় বাংলার প্রভাষক আবু জায়েদ আনছারী আরবি বিষয়ের খাতা মূল্যায়ন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, আবু জায়েদ আনছারী কৌশলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান ফাযিল পরীক্ষার আরবি বিষয়ের প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্রের খাতা মূল্যায়নের জন্য নিয়ে আসেন ।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাদরাসার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ হজের ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক আবুল হাসেম। গত ১২ সেপ্টেম্বর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শুরু হয় ফাজিল পরীক্ষা। ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ের পরীক্ষা শেষে মূল্যায়নের জন্য কৌশলে বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খাতা নিয়ে আসেন আবু জায়েদ আনছারী। বিষয়টি জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে অভিভাবক ও সচেতন মহলে। বাংলা বিষয়ের প্রভাষক কিভাবে আরবি বিষয়ের খাতা মূল্যায়ন করেন, তা নিয়ে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলা বিষয়ের অভিযুক্ত প্রভাষক আবু জায়েদ আনছারীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি আরবি বিষয়ের খাতা নিয়ে আসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আরবি খাতাগুলো ফেরত দিয়ে আসব। তবে কিভাবে বাংলা বিষয়ের প্রভাষক হয়ে আরবি খাতা পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মীর জান্নাত আলী জানান, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষরকৃত সুপারিশ ছাড়া কোনো খাতাই বোর্ড থেকে পান না কেউ। তবে আমি ছুটিতে থাকার কারণে হয়তো ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত সুপারিশ নিয়ে বাংলা বিষয়ের প্রভাষক আবু জায়েদ আনছারী আরবি বিষয়ের খাতা এনেছেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শোনার পর অভিযুক্ত বাংলা প্রভাষককে ২৭ অক্টোবর বোর্ডে এসে আরবি বিষয়ের খাতা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি গাফিলতি করলে প্রথমে অধ্যক্ষকে খাতা উদ্ধারের জন্য বলা হবে। তাতে কোনো ফল না হলে জেলার পুলিশ সুপারকে ওই খাতা উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হবে। এছাড়া অভিযুক্ত আবু জায়েদ আনছারীর বিরুদ্ধে সাময়িকভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।