জনবল সংকটে চালু হয়নি সাড়ে ৩০ কোটি টাকার হাসপাতাল
৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নীলফামারীতে নির্মাণ করা হয় ছয়তলা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল। চলতি বছরের ৯ এপ্রিল গণপূর্ত বিভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করলেও জনবল সংকটের কারণে সাত মাসেও চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করা যায়নি। আর তাই সদর হাসপাতালের পুরোনো ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবা।
তবে এই ভবনে শয্যা সংকট এখন চরমে। ভবনের ওয়ার্ড ও বারান্দার মেঝেতে ঠাঁই নিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে জনবল সংকটও রয়েছে। হাসপাতালটিতে প্রয়োজন ১৫০। কিন্তু ৫০ শয্যার জন্য যে জনবল প্রয়োজন, তাও নেই এখানে। ফলে এখান থেকে রোগীরা যথাযথ সেবা পান না।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালটি সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে শয্যাসংকটের কারণে পুরোনো ভবনে ওয়ার্ড ও বারান্দার মেঝেতে ঠাঁই নিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ড, পুরুষ ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ডে রোগীর গাদাগাদি অবস্থা। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে আজ ২৮০ জন রোগী ভর্তি ছিলো।
মহিলা ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন সদর উপজেলার গাবেরতল গ্রামের জোহরা খাতুন (৩৫)। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি বলেন, ‘পাঁচ দিন থাকি আছি তাও বিছানা পাচ্ছি না, মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। নয়া বিল্ডিং চালু করা দরকার।’
জানা যায়, ১০০ শয্যা হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা হয় ২০১১ সালে। এরপর ২০১৩ সালের ২৫ জুলাই ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫০ শয্যার সম্প্রসারিত ভবনটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়। আটতলা ভিত্তির ভবনটির ছয়তলার নির্মাণকাজে সময় লাগে প্রায় ছয় বছর। চলতি বছরের ৯ এপ্রিল ভবনটি হস্তান্তর করে গণপূর্ত বিভাগ।
নতুন হাসপাতাল ভবনের কার্যক্রম কবে চালু হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মণ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘হাসপাতালটি ৫০ শয্যা থেকে দফায় দফায় ২৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও পুরোনো ৫০ শয্যার জনবলের কাঠামোই রয়ে গেছে। ২৫০ শয্যার কার্যক্রম দ্রুত চালুর জন্য জনবল ও অর্থ বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।’