সদ্য জামিন পাওয়া আশুলিয়া যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ফের মামলা
আড়তের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ এনে আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (স্বনির্ভর ধামসোনা ইউপি) ময়নুল ইসলাম ভুঁইয়াকে প্রধান আসামি করেছেন মামলা করেছে এম এ খান শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আলমগীর খাঁন। এর আগে গত সোমবার (২১ অক্টোবর) চাঁদাবাজি ও জমি দখলের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন- ময়নুল হক ভুঁইয়া, রিয়াদ মোল্লা, হালিম শেখ ও মো. আজগর আলী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আশুলিয়ার বাইপাইল মৌজার আরএস-২২০ ও ৮৩২ দাগের মোট ৩৯ শতাংশ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক আলমগীর খাঁন। তিনি সেখানে ৬৮টি দোকান নির্মাণ করে কাঁচামালের আড়ৎদারদের ভাড়া দেন। মার্কেটটি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ময়নুল ইসলাম ভুঁইয়া। পরে আদালতে একটি পিটিশন মামলা (নং-৩/২০১৯ ধারা ফৌঃকঃবি ১৪৫) দায়ের করেন তিনি। কিন্তু গত (৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ মইনুল দলবল নিয়ে ওই মার্কেটের ২২টি আড়তে হামলা করে প্রায় ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে দোকান মালিকদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনার পর থেকে দোকান মালিকরা ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২১ অক্টোবর) জমি দখল ও চাঁদাবাজির মামলায় ময়নুলকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে ২২ অক্টোবর তিনি জামিনে মুক্তি পান। মুক্তির প্রায় ছয় দিন পর আবার তার বিরুদ্ধে লুটপাট ও জমি দখল চেষ্টার মামলা দায়ের হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার কর্তব্যরত অফিসার (ডিউটি অফিসার) উপ-পরিদর্শক কল্পনা।