ফরিদপুরে মৎস্য কর্মকর্তা-পুলিশের ইলিশ লুট

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা, চারজন পুলিশ ও কয়েকজন সাংবাদিক মিলে জেলেদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ইলিশ লুট করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে ওই জেলেদের নৌকা থেকে আনুমানিক দেড় মণ ইলিশ উদ্ধার করেন তারা। পরে উপজেলার গোপালপুর ঘাটে এসে মাছগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন। ওই সময় আনুমানিক দুই হাজার মিটার জাল জেলেদের কাছ থেকে নিয়ে এসে গোপালপুর ঘাটে এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রিও করেন।

বিজ্ঞাপন

এ দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী শামীম আরেফিন, চরভদ্রাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ও তিন কনস্টেবল এবং চরভদ্রাসন উপজেলার সাংবাদিক লিয়াকত আলী লাবলু ও উজ্জ্বল হোসেন এবং উজ্জ্বলের সহযোগী মো. কামাল।

গোপালপুর ঘাট মালিকের প্রতিনিধি মো. আলী মৃধা জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘাটে এসে মৎস্য অফিসের লোক, পুলিশ ও সাংবাদিকরা মাছ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়ে যান।

চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা জানান, সোমবার সকালে মৎস্য কার্যালয়ের লোক, পুলিশ ও সাংবাদিকের একটি দলের মাছ নিয়ে যাওয়ার খবর জানতে পেরেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, নির্বাহী হাকিম ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হতে পারে না। অসৎ উদ্দেশেই ওই ব্যক্তিরা এ কাজ করেছে।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুণ অর রশীদ জানান, আসামি ধরার কথা বলে স্পিডবোট ভাড়া করে পদ্মায় গিয়েছিলেন এক এসআই ও তিন কনস্টেবল। কিন্তু মৎস্য অফিসের লোকের পাল্লায় পড়ে তারা নিজেদের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে ওই কাজ করেছে।

তিনি বলেন, ‘এসআই মিজানুর রহমান ও তিন কনস্টেবল কুতুবউদ্দিন, ফরহাদ হোসেন ও সেলিম মিয়াকে চরভদ্রাসন থানা থেকে প্রত্যাহার করে ফরিদপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভীর হোসেন জানান, উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী শামীম আরেফিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চরভদ্রাসন প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মেজবাউদ্দিন জানান, যেসব সাংবাদিক মাছ লুট করতে গিয়েছিলেন, এর মধ্যে লিয়াকত আলী লাবলু ও উজ্জ্বল হোসেন তার প্রেসক্লাবের সদস্য।

তিনি জানান, ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।