বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, অথচ বিল এসেছে ৯৬২৭ টাকা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ বিল। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎ বিল। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নে আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকানের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। শুধু তাই নয়, একটি চুরি যাওয়া মিটারেরও বিল এসেছে ৯ হাজার ৬২৭ টাকা। গত মাসের বিদ্যুৎ বিলের চিত্র এটি।

শুধু তাই নয়, গত কয়েক মাস ধরে এমন অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল এসেছে ওই এলাকার অনেক গ্রাহকের নামেই। মিটার রিডারদের খামখেয়ালিপনায় এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের শাহী বাজারের চা বিক্রেতা আবুল কালাম তার দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন গত এক মাস আগে। প্রথম মাসেই তার দোকানের বিল এসেছে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

আবুল কালাম বলেন, ‘আমার ছোট একটি চায়ের দোকান। আমার দোকানে সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত একটি লাইট জ্বলে। অথচ প্রথম মাসেই বিদ্যুতের বিল এসেছে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। বিল দেখে আমি পল্লী বিদ্যুৎ বরাবর অভিযোগ করেছি। কর্তৃপক্ষ বিলটি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।’

অপরদিকে, প্রায় ৬ মাস ধরে একই এলাকার আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ নেই। বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার পরে তিনি আর সংযোগ নেননি। কিন্তু তাকে সেপ্টেম্বর মাসের বিল দিয়ে গেছেন পল্লী বিদ্যুতের লোকজন। বিল এসেছে ৯ হাজার ৬২৭ টাকা।

বিজ্ঞাপন

সিংড়া পৌর এলাকার বালুয়া-বাসুয়া মহল্লার সুমন মাহফুজ বলেন, ‘প্রতিমাসে আমার বিল আসে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে বিল এসেছে ৪ হাজার ৪৭৫ টাকা। বিলের ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের অফিসে কথা বলতে গেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই বেশি টাকা বিল পরিশোধ করেছি।’

এ ব্যাপারে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি, অস্বাভাবিক বিলের ব্যাপারে জানি না। তবে গ্রাহকদের যেকোনো অভিযোগ পর্যালোচনা করা হবে। সেখানে কোনো ভুল হলে সমাধান করা হবে।’