পুকুরে ডুবে নয়, কিশোর গ্যাং হত্যা করেছে রেজাকে
সম্প্রতি ফরিদপুর শহরের ডিআইবি বটতলা এলাকার একটি পুকুর থেকে রেজা মোল্লা (২১) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চার কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর হত্যার দায় স্বীকার করে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নিহত রেজা মোল্লা শহরের কমলাপুর বটতলা এলাকার মৃত আব্দুর সাত্তার মোল্লার ছেলে। তিনি বটতলা এলাকায় সাখাওয়াতের হোটেলে কাজ করতেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর সকালে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আর ফেরেননি। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ কমলাপুরস্থ তছলিম বিশ্বাসের পুকুর থেকে রেজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পরিবারের লোকজন ধারণা করে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন রেজা। এ কারণে রেজার পরিবারের সদস্যরা কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী রেজার মরদেহ দাফন করে।
এসআই বেলাল হোসেন জানান, যে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কোনো এক কারণে তাদের নিজেদের মধ্যে কোন্দলের সৃষ্টি হয়। পরে রেজাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ তথ্যের ভিত্তিতে গত রোববার রেজার প্রতিবেশী ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরও ৩ কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে গত রোববার রাতে নিহত রেজার বড় ভাই মুরাদ মোল্লা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া ওই চার কিশোরকেই আসামি করা হয়েছে।
এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, নিহত রেজা গ্রেফতার ওই ৪ কিশোর আসামির পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি তাদের মধ্যে কোনো একটি বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরেই হত্যা করা হয় রেজাকে। আসামিরা কিশোর হওয়ায় তাদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এছাড়া নিহত রেজার মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।