ধানক্ষেতে ফড়িংয়ের আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বান্দরবান
কারেন্ট পোকায় ঝলসে গেছে কৃষকের স্বপ্ন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কারেন্ট পোকায় ঝলসে গেছে কৃষকের স্বপ্ন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে কারেন্ট পোকার (বাদামী ঘাস ফড়িং) আক্রমণে জমির ধান গাছ ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তবে ফড়িং দমনে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন তারা। আর দায়িত্বে অবহেলা করায় বাইশারী ব্লগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল আলমকে শোকজ করা হয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। কৃষকের পরিচর্যায় বেড়ে উঠেছে ধান ক্ষেত। ভালো ফলনের স্বপ্নও দেখছেন কৃষকরা। কিন্তু ফড়িংয়ের আক্রমণে অনেক কৃষকের ধান ক্ষেত ঝলসে গেছে। তবে কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে ফসলি জমি রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অফিস।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক কৃষকের ফসলি জমির ধান ক্ষেত পোকার আক্রমণে মরে শুকিয়ে গেছে। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ধান ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কেউ। ধান গাছের গোড়ায় পোকা আক্রমণ করায় সবুজ ধান গাছ অল্প দিনেই শুকিয়ে মাটিতে নুয়ে পড়ে।

কৃষি বিভাগের দাবি, কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে ফসলি ধানের জমি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও আনা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক বিষয়টি জেনেও দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল আলমকে শোকজ করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত বাইশারী ইউনিয়নের কৃষক জালাল আহাম্মদ জানান, ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণের ব্যাপারটি তিনি আগে বুঝতে পারেননি। হঠাৎ ধানের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাল হয়ে যায়। ধানের শীষ বের হওয়ার মতো হয়েছিল। এ অবস্থায় পুরো ধান ক্ষেত মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ

কৃষক মো. ওসমান গনি জানান, দুই একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হবে বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কারেন্ট পোকার আক্রমণে সর্বশান্ত হয়ে গেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কৃষি কাজ করলেও পোকার আক্রমণে সোনালী ফসল ঘরে তোলা হচ্ছে না তার। ফলে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ নিয়ে বেশ চিন্তিত তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবদুর রশিদ জানান, এক বিঘা জমিতে ধান চাষে ব্যয় হয় দশ হাজার। তবে ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় না। কৃষি কাজে ব্যয় প্রচুর। ফলে লাভ লোকসান প্রায় সমান সমান। তারপরও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন। কিন্তু ফড়িংয়ের আক্রমণে এবার সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন।

বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক একেএম নাজমুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ মাত্র দুই হেক্টর। কারেন্ট পোকা খুবই মারাত্মক। গাছের গোড়ায় আক্রমণের ফলে সহজে বোঝা যায় না। তবে অল্প সময়ের মধ্যে ধান গাছ মরে যায়। কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় প্রতি মঙ্গলবার একযোগে সারা দেশে রাতে লাইট জ্বালিয়ে পোকা দমন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসহ বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় কৃষি অফিসারদের সর্তক করা হয়েছে। সজাগ দৃষ্টি রেখে পোকা দমনে কৃষকদের কার্যকর পরামর্শ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে আক্রান্ত এলাকা শনাক্ত করে পোকার আক্রমণ প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;