দুদকের মামলায় আরডিএ কর্মচারীর দুই বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) বরখাস্ত এক কর্মচারীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মোসা. ইসমত আরা তাকে এ দণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তাক আহমেদ রাজশাহীর পবা উপজেলার ভাঙ্গা সড়কপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।তিনি আরডিএ’র উচ্চমান সহকারী ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের আদালত পরিদর্শক আমির হোসাইন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আরডিএ’তে চাকরিতে থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালের শুরুর দিকে মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পায় দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদের বিবরণ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু তিনি চিঠি অগ্রাহ্য করে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।
আমির হোসাইন বলেন, ‘দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী আদেশ দেয়ার পর সম্পদ বিবরণী দাখিল না করাটা অপরাধ। এ অপরাধে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক রিজিয়া খাতুন মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘চেক জালিয়াতির একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে মোস্তাক আহমেদ কারাগারে আছেন। তাই রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন না। তার পক্ষে ছিলেন না কোনো আইনজীবীও। তবে দুদকের পক্ষে আইনজীবী শহিদুল হক খোকন মামলাটি পরিচালনা করেন।’