বান্দরবানে কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু
বান্দরবানে পাহাড়ের বৌদ্ধ বিহারগুলোতে পুণ্যের আশায় মাসব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে বটতলী পাড়া, ডলুঝিরি পাড়া বৌদ্ধ বিহারে দুই দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়েছে।
এ উৎসবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারীরা মাত্র একদিনের মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে, সেই সুতায় রং লাগিয়ে কাপড় বুনে তা বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ভিক্ষুদের পরিধানের জন্য চীবর কাপড় তৈরি করে।
প্রচলিত আছে, গৌতম বুদ্ধের মহা পুণ্যবতী নারী বিশাখা দেবী এই কঠিন ব্রতী পালন করে বুদ্ধকে চীবর দান করেছিলেন। সে থেকে প্রতিবছর বান্দরবানেও বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ব্যাপক আয়োজনে চীবর দানোৎসব পালন করা হচ্ছে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জীবনে একবারও যদি আমরা ভিক্ষুদের চীবর তৈরি করে দান করতে পারি, তাহলে পরবর্তী বুদ্ধ যিনি আবির্ভাব হবেন আগামী জনমে আমরা তারই পূন্যার্থী হবো।
উৎসব আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, রেইছা বৌদ্ধ বিহার, জ্ঞানরত্ব বৌদ্ধ বিহার, আমতলী বৌদ্ধ বিহার’সহ কয়েকটি বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বালাঘাটা বৌদ্ধ বিহারসহ কয়েকটি বিহারে এ উৎসব শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বান্দরবানের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারগুলোতে এ উৎসব চলবে নভেম্বর মাসব্যাপী। সবশেষে কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবের শেষদিনে কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার থেকে বিহারের অধ্যক্ষ ভিক্ষু উচহ্লা ভান্তের নেতৃত্বে শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু খালি পায়ে লাইন ধরে হেটে উজানীপাড়া-মধ্যমপাড়াসহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এলাকাগুলো থেকে ছোয়াইং (খাবার) এবং নগদ টাকা-কাপড় সংগ্রহ করবেন। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ছোয়াইং দানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।