কুড়িগ্রামে বিরল প্রজাতির বনরুই উদ্ধার

  • ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিরল প্রজাতির বনরুই, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিরল প্রজাতির বনরুই, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে একটি বিরল প্রজাতির বনরুই উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কচাকাটা থানার পূর্ব কেদার সীমান্ত এলাকা থেকে বনরুইটি উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

কচাকাটা থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১০টার দিকে থানার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামের আব্দুল খালেকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা প্রাণীটিকে বস্তাবন্দী অবস্থায় বাড়ির উত্তর দিকের ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বনরুইটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে প্রাণীটি নাগেশ্বরী বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি তবে একটি জিডি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নাগেশ্বরী বন কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান শাহীন জানান, বনরুইটি রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে মৌলভীবাজার বনাঞ্চলে এটাকে মুক্ত করা হবে।

এলাকাবাসী জানায়, বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার সীমান্ত এলাকা হওয়ায় একটি চোরাচালান চক্র ভারত থেকে এসব প্রাণী এনে ঢাকায় চড়া মূল্যে বিক্রি করে। এই চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে।

তবে তাদের মধ্যে কাশিমবাজার ছনবান্দা গ্রামের মৃত মনছের আলীর সন্তান আব্দুর রশিদ, খুটামার গ্রামের আব্দুর রহিম, আব্দুল করিম, পূর্বকেদার গ্রামের মোখলেছুর রহমান, ফকির বাদশা ও ওবাইদুল ইসলাম উল্লেখযোগ্য।

নাম না প্রকাশের শর্তে একজন ওয়ার্ড সদস্য বলেন, উদ্ধার হওয়া বনরুইটি ফকির বাদশা ও ওবাইদুলের। ভারতের আসাম রাজ্য থেকে প্রাণীটি নিয়ে এসে বিক্রির উদ্দেশে আব্দুল খালেকের বাড়িতে রাখে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ২৩ মে একই ইউনিয়নের কাশেম বাজার এলাকার আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে একটি এবং ৮ সেপ্টেম্বর নাগেশ্বরীর হাসেম বাজার এলাকা থেকে আরেকটি বনরুই উদ্ধার করে পুলিশ।