শামিয়ানার নিচে জেএসসি পরীক্ষা, দুর্ভোগে শতাধিক শিক্ষার্থী
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কাশিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অস্থায়ী প্যান্ডেলের নিচেই শতাধিক পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। রাতের কুয়াশার কারণে বেঞ্চগুলো ছিল ভেজা। ভেজা জায়গাগুলো মুছে পরীক্ষায় বসতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এদিকে, বেলা বাড়তে থাকলে গরমে দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে তাদের।
শনিবার (২ নভেম্বর) সরেজমিনে কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠেই তৈরি করা হয়েছে একটি প্যান্ডেল। উপরে শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। ভেতরে টিন দিয়ে বানানো হয়েছে কক্ষ। আবার বিদ্যালয়ের সাইকেল গ্যারেজটিতেও উপরে শামিয়ানা ব্যবহার করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব টিকেন চন্দ্র রায় বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এবার তাদের বিদ্যালয়ে স্থাপিত কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৬শ ৯৩ জন। প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষের তুলনায় পরীক্ষার্থী বেশি হওয়ায় ডেকোরেটরের সাহায্যে বিদ্যালয়ের মাঠে প্যান্ডেল করে অস্থায়ীভাবে কক্ষ তৈরি করে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। এই অস্থায়ী কক্ষে অন্তত শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।’
কাশিয়া বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অস্থায়ী কক্ষে পরিদর্শক আব্দুর রউফ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘শামিয়ানা দিয়ে তৈরি ছাদ আর চারিদিক ঘেরা এই অস্থায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে সূর্যের তাপে বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আমরাও ভীষণ অস্বস্তিতে আছি।’
অস্থায়ী কক্ষের পরীক্ষার্থী নয়ন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘টিন দিয়ে ঘেরা এসব কক্ষের ছাদ না থাকায় রাতে কুয়াশায় বেঞ্চ ভিজে থাকে। সকালে পরীক্ষা শুরুর সময় এসব ভেজা বেঞ্চে খাতা রাখলেই ভিজে যায়। আর পরীক্ষা শুরুর পর বেলা যত বাড়ে সূর্যের তাপও ততো বাড়ে।’
ঘগোয়া গ্রামের বাসিন্দা কলেজছাত্র শাহানত হোসেনের ছোট ভাই পরীক্ষা দিচ্ছে এই কেন্দ্রে। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সকালে ভাইকে নিয়ে এসে মাঠে প্যান্ডেল দেখে মনে হয়েছিল, এখানে বুঝি কোনো অনুষ্ঠান হবে। পরে দেখি পরীক্ষা হচ্ছে।’
পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থী আশা আক্তার, নূর আলম মিয়াসহ আরও অনেকে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানায়, ‘প্যান্ডেলের ভেতরে পরীক্ষা দিতে কেমন একটা অস্বস্তি লাগে তাদের। এছাড়া সকালে কুয়াশা থাকে। তখন ঠাণ্ডা লাগে, আবার দুপুরের গরম লাগে।’
পীরগাছা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সুজা মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘কেন্দ্রটিতে শ্রেণিকক্ষের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’