নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হুমকি ও মারপিটের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের বাঁশভাগ গ্রামের কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে কাজী ইউনুছ নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বিচারক শুনানি শেষে আগামী ২ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন বাদী। মামলায় আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আদিল খান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণীতে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি কাজী ইউনুছের ছোট ভাই কাজী সুমন। সুমনকে জামিনের ব্যবস্থাসহ অব্যাহতি দেয়ার বিনিময়ে কাজী ইউনুসের নিকট দুই লাখ টাকা দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ। দাবি অনুসারে ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে কাজী ইউনুছ প্রথম দফায় আসাদকে এক লাখ টাকা দেন। কিছু দিন পর আবারও মামলার খরচ বাবদ আরও এক লাখ টাকা দাবি করলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন কাজী ইউনুস। বাকি টাকা পরিশোধ না করায় পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আসাদ তাদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ অবস্থায় গত ২৪ অক্টোবর কাজী ইউনুছ স্থানীয় নলডাঙ্গা বাজারে গেলে আসাদ তার ভাড়াটিয়া কয়েকজন সন্ত্রাসী দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে নিজ অফিসে নিয়ে যান এবং এক লাখ টাকা দাবি করেন। আবারও টাকা না দেয়ার কথা জানালে তাকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে কাজী ইউনুসের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন।

মামলার বাদী কাজী ইউনুস জানান, 'ওই ঘটনার পর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ এক লাখ টাকা আদায় করতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। অন্যথায় ভাইসহ আমাকে মারপিটসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। এর প্রেক্ষিতে আসাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছি।'

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে মামলার বিবাদী ও নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, 'লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা। বরং বাদী কাজী ইউনুসের কাছে আমার ২৯ হাজার টাকা পাওনা আছে। পাওনা আদায়ে নলডাঙ্গা থানায় সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমাকে ২৯ হাজার টাকার চেক দেন কাজী ইউনুছ। কিন্তু ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখি তার একাউন্টে কোন টাকা নেই। আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে মামলাটি করা হয়েছে।'

নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) উজ্জল হোসেন বলেন, 'মৌখিকভাবে আমরা মামলার বিষয়টি জেনেছি কিন্ত এ সংক্রান্ত আদালতের কোনো নির্দেশনা হাতে পাইনি। প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'