খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নারীকে নির্যাতন: অবশেষে মামলা নিয়েছে পুলিশ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নারীকে নির্যাতন। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়ায় খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নারীকে নির্যাতন। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক নারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অবশেষে মামলা নিয়েছে থানা পুলিশ। শুধু তাই নয়, মামলার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান আসামি রাফিকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ‘বগুড়ায় খুঁটিতে বেঁধে নারীকে নির্যাতন, মামলা নেয়নি পুলিশ’ এমন শিরোনামে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপরই টনক নড়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের। তিনি বিভিন্ন ভাবে সন্ধান করতে থাকেন নির্যাতনের শিকার শিল্পী বেগমকে (৪০)। তাকে না পেয়ে পুলিশ শিল্পী বেগমের ভাই মামুন হোসেনকে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে বাদী করে বিকেলে এজাহার নামীয় একজন ছাড়াও অজ্ঞাত ৫-৬ জনের নামে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়।

মামলার বাদী মামুন হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘দুপুরের পর পুলিশ আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। এরপর কম্পিউটারে কম্পোজ করা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘মামলায় কতজনকে আসামি করা হয়েছে তা জানি না। তবে শুনেছি একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।’

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মামলা দায়ের করার পরপরই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালায় শিল্পী বেগম নামে ওই নারীকে কপির জমিতে চারা নষ্ট করার অভিযোগে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে মারপিট করেন একই গ্রামের রাফি ও তার লোকজন।

বগুড়া সদরের পলাশবাড়ি গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে শিল্পী বেগম গৃহনির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। অনন্তবালা গ্রামের শহিদুলের ছেলে রাফি তাকে ৮-৯ মাস আগে বিয়ে করেন। কিন্তু রাফি তা অস্বীকার করছেন।

আরও পড়ুন:বগুড়ায় খুঁটিতে বেঁধে নারীকে নির্যাতন, মামলা নেয়নি পুলিশ