বয়স আনুমানিক ৩০, জেডিসি পরীক্ষা দিতে এসে ধরা খেয়ে পলায়ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় আজিজ(৩৫) নামক এক পরীক্ষার্থী বয়স গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়ে পালিয়েছেন।

কেন্দ্র সচিব বিষয়টি টের পাওয়ায় পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যান আজিজ। তার প্রকৃত বয়স আড়াল করে রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে উপজেলার রামশা কাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, গত ২ নভেম্বর উপজেলার শাঁখাড়ীপাড়া দারুল হুদা ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে জেডিসির প্রথম পরীক্ষা দিতে আসেন আজিজ। বিষয়টি জেনেও পরীক্ষা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে পরীক্ষা চলাকালীন ওই কেন্দ্রে গিয়ে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানকে সতর্ক করেন নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ।

ঘটনার পাঁচ দিন পর গতকাল(৬ই নভেম্বর) পরীক্ষা কেন্দ্রে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের 'অনধিকার প্রবেশ' বিষয়ে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (৭ই নভেম্বর) নোটিশের জবাব দেন তিনি। তবে আজিজের রেজিস্ট্রশনকারী প্রতিষ্ঠান রামশা কাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে এখনও কোন ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা শিক্ষা অফিস।

এ ঘটনায় শাঁখাড়ীপাড়া দারুল হুদা ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশনকারী প্রতিষ্ঠান রামশা কাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে। অন্যদিকে, রামশা কাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পরীক্ষার্থী আজিজকে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশনের দাবী করেছে।

জানা যায়, রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার একডালা গ্রামের দবীর উদ্দীনের ছেলে আজিজ পাশ্ববর্তী নলডাঙ্গা উপজেলার রামশা কাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে চলতি বছর রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। জেডিসির এডমিট কার্ডে আজিজের বয়স জন্ম তারিখ ২০০৭ সালের ১ লা ডিসেম্বর। জন্ম তারিখ অনুযায়ী আজিজের বর্তমান বয়স ১১ বছর ১১ মাস। জেডিসি পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থীর বয়স হবে ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। কিন্ত আজিজের প্রকৃত বয়স এর চেয়ে অনেক বেশি। বয়স গোপন করে তাকে জেডিসি পরীক্ষা দিতে সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রামশা কাজীপুর দাখিল মাদ্রার সুপার মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে শাঁখাড়ীপাড়া দারুল হুদা ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের সচিব অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জানান, গত ২রা নভেম্বর পরীক্ষা শুরুর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ আমার অনুমতি না নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ১১১ নম্বর কক্ষে যান। ফিরে এসে তিনি আমাকে জানান, একজন মাঝ বয়সী চাপ দাঁড়িওয়ালা ব্যক্তি বয়স গোপন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তবে ওই কক্ষে গিয়ে আমি ওই পরীক্ষার্থীকে খুঁজে পাইনি। আমি জানতে পারি ওই পরীক্ষার্থীর নাম আজিজ। আমি যাওয়ার আগেই সে পালিয়ে গেছে বলে অন্য পরীক্ষার্থীরা জানায়। কেন্দ্র হিসেবে আমরা বোর্ড প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী পরীক্ষার ব্যবস্থা করি শুধু। এই জালিয়াতির দায় রেজিস্ট্রেশনকারী মাদ্রাসার।

রেজিস্ট্রেশনকারী প্রতিষ্ঠান রামশা কাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপার মহিদুল ইসলাম বলেন, আজিজ এই মাদ্রাসার শিক্ষক ফজলুল হকের মাধ্যমে আমার কাছে আসে। জন্ম সনদ দেখে আজিজকে ভর্তি করানো হয় এবং জেডিসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রশনের সুযোগ পায় সে। তবে যে জন্ম সনদের কপি দিয়ে আজিজ ভর্তি হয়েছে তা দেখতে চাইলে সুপার মহিদুল ইসলাম দেখাতে পারেনি।

পরে তিনি বলেন, আজিজ প্রদর্শিত জন্মসনদ যাচাই করা হয়নি। আজিজ সনদ জালিয়াতি করতে পারে। আজিজের শারীরিক গড়ন দেখে তার প্রকৃত বয়স ৩০ এর বেশি বলে মনে হয়।

আজিজকে মাদ্রাসায় আনা শিক্ষক ফজলুল হকের সাথে সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সাড়া পাওয়া যায়নি।

নলডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আবদুল্লাহ আনছারী জানান, আজিজের বিষয়টি আমরা জেনেছি। যেহেতু এখন পরীক্ষা চলছে তাই পরীক্ষা শেষ হলে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকলে রামশা কাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার জেডিসি পরীক্ষার্থীদের বসার পরিবেশ ঠিক আছে কি না, তা দেখতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে ওই কেন্দ্রে প্রবেশ করি। পরে একজন পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হলে কেন্দ্র সচিবকে জানাই। তবে সে ভুয়া পরীক্ষার্থী ছিলো, যা সে পালিয়ে প্রমাণ করেছে।'

পরীক্ষাকেন্দ্রে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রবেশ করতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব-আল-রাব্বি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান কীভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলেন, সে বিষয়ে কেন্দ্র সচিবের নিকট ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। বয়স জালিয়াতি করে পরীক্ষা দেয়ার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;