শিক্ষা অফিসারের সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ছাড়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম জেলার ম্যাপ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কুড়িগ্রাম জেলার ম্যাপ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সকালে যা বিধি বহির্ভূত, বিকালে তা বিধি সম্মত হয়ে যায়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবু ছালেহ সরকারের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূত ভাবে এমনই একটি মাইনর মেরামত ও রাজস্ব মেরামত খাতের ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে স্কুল উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে উপজেলার ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রুটিন মেইনটেন্যান্স, মাইনর মেরামত, রাজস্ব মেরামত, প্রাক প্রাথমিক, ওয়াস ব্লক মেরামত ও স্লিপ গ্রান্ডের টাকা মিলে সর্বমোট ১ কোটি ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা প্রাথমিক অফিসার পদে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি বরাদ্দের অর্থ ৯৩টি স্কুলের বিপরীতে বিভাজন করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভায় পাশ করান। এই বিভাজনে দেখা যায় ৯৩টি স্কুলের মধ্যে রমনা ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে মাইনর মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা এবং রাজস্ব মেরামতের জন্য আরও দেড় লাখ টাকা বরাদ্দসহ প্রাক প্রাথমিক ১০ হাজার টাকা,এবং স্লিপ গ্রান্ড বাবদ ৭০ হাজার টাকা মিলে মোট ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ বাকী ৯২ টি স্কুলের বিভাজন তালিকায় দেখা যায় যে, যে সকল স্কুলের বিপরীতে মাইনর মেরামতের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেই স্কুলের বিপরীতে রাজস্ব বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

বিভাজনের পর স্কুল প্রতি মোট বরাদ্দের টাকা ভুয়া ভাউচার দিয়ে রাজস্ব অফিস থেকে উত্তোলন করে মাইনর ও রাজস্ব মেরামতের টাকা অফিস এ্যাকাউন্টে নেওয়া হয় এবং অন্যান্য খাতের টাকা সংশ্লিষ্ট স্কুলের এ্যাকাউন্টে ট্র্যান্সফার করা হয়। মাইনর ও রাজস্ব মেরামতের স্কুল প্রতি বরাদ্দের অর্ধেক টাকা মেরামতের জন্য প্রথম পর্যায়ে ছাড় দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ের ছাড়কৃত টাকার কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে পরবর্তী বাকী টাকা ছাড় দেওয়ার কথা। এরই মধ্যে তৎকালীন শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অন্যত্র বদলী হয়ে যান। সম্প্রতি মো. আবু ছালেহ সরকার উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে যোগদান করেন।

নাবযোগদানকৃত শিক্ষা অফিসার মো. আবু ছালেহ সরকার স্কুল প্রতি আর্থিক বরাদ্দের বিভাজনটি দেখেন এবং বিভিন্ন
স্কুলের কাজ সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. শাখাওয়াৎ হোসেন ও মো. জাহেদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে পরিদর্শন শেষে রমনা ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাইনর মেরামত ও রাজস্ব মেরামত খাতের বাকী টাকা ছাড় না দিয়ে, আটকিয়ে রাখেন। এদিকে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার কাজ শেষ হয়েছে এবং পাওনাদারগণ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে জানালে, শিক্ষা অফিসার বাকী টাকা প্রদানে বিধিগত সমস্যা আছে মর্মে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। বিষয়টি স্থানীয় শিক্ষক নেতাদের কানে গেলে, তারাও উক্ত টাকা ছাড় দেওয়ার জন্য শিক্ষা অফিসারকে অনুরোধ জানান। কিন্তু শিক্ষা অফিসার তাদেরকে জানান, বিধিগত ভাবে ছাড় দিতে হলে, হয় রাজস্ব, নয় তো মাইনর মেরামতের যে কোন একটি বরাদ্দের টাকা ছাড় দেওয়া যাবে। শিক্ষক নেতারা ও প্রধান শিক্ষক এটা মানতে রাজী না হওয়ায়, তিনি স্কুল পরিদর্শন করে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ অন্তে সিদ্ধান্ত নিবেন মর্মে তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেন।

এদিকে শিক্ষকরা বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানালে, থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসে। এ প্রতিনিধি গত ৩০ অক্টোবর শিক্ষা অফিসার মো. আবু ছালেহ সরকারের মুখোমুখি হলে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট ও অডিট শাখার পরিপত্র (যার স্মারক নং-৩৮.০০৬.০২০.০৭.০০.০৪৫.২০০৯-১৩৮ তারিখ ২০ মে ২০১৩খ্রিষ্টাব্দ ,বাংলা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০বঙ্গাব্দ) দেখিয়ে বলেন, এই পরিপত্রের শর্তাবলী অর্থ বরাদ্দের নীতিমালার ৮ নং নির্দেশনায় বলা হয়েছে “উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মেরামত কাজ চলছে অথবা মেরামতের জন্য তালিকা ভুক্ত এমন কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়/ প্রতিষ্ঠান বরাবরে রাজস্ব খাত থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণের সময় দ্বৈততা পরিহারের লক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠান মেরামত/সংস্কার/অবকাঠামো নির্মাণের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত নয় মর্মে উল্লেখ করতে হবে।” এই নীতি মালা অনুযায়ী পূর্বের শিক্ষা অফিসার মাইনর মেরামত ও রাজস্ব মেরামতের টাকা একই প্রতিষ্ঠানে দিতে পারেন না বলে তিনি জানান। সে কারণেই তিনি বাকী টাকা ছাড় দিচ্ছেন না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে ছাড় দেওয়া গেলে, তিনি উক্ত বরাদ্দের টাকা ছাড় দেবেন বলে জানান। অথচ অজ্ঞাত কারণে, বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর তিনি একই সাথে মাইনর মেরামত ও রাজস্ব মেরামতের বরাদ্দের চেকে স্বাক্ষর করে রমনা ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. নাজমা বেগমের সাথে মোবাইলে কথা বললে, তিনি ৩১ অক্টোবর বিকালে দুটি খাতেরই চেক পেয়েছেন মর্মে জানান।

শিক্ষা অফিসার আবু ছালেহ সরকারের নিকট মোবাইলে যোগাযোগ করতে গেলে, তিনি কোন নীতিমালা ও বিধিমালা মোতাবেক চেক হস্তান্তর করলেন জানতে চাইলে তিনি এর কোন যুক্তি সংগত সদুত্তর দিতে পারেননি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;