বৃষ্টিতে এক সড়কের অর্ধ-শতাধিক পরিবার পানিবন্দি
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে টানা তিনদিন লক্ষ্মীপুরের সর্বত্র বৃষ্টি হচ্ছে। এতে আশপাশের ডোবা-জলাশয় ভরাট হয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সমসেরাবাদ এলাকার হায়দার আলী সড়কের অর্ধ-শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হাঁটু পরিমাণ পানি ডিঙিয়ে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে মানুষকে।
জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০২ সালে সমসেরাবাদ এলাকার হায়দার আলী সড়কটি পাকা রাস্তায় পরিণত করা হয়। এরপর ওই সড়ক ভেঙে গেলেও কোনো রকম মেরামত করা হয়নি। নাজুক এই সড়কটিতে রিকশা নিয়ে ঢুকতে চান না চালকরা। বৃষ্টি হলেই হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও তা অপরিকল্পিত। প্রায় এক বছর হয়েছে ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। নিচু হওয়ায় ড্রেনের পানিতেই পুকুরে পরিণত হয় সড়কটি। এতে সড়কের পাশের কাঁচা ঘরগুলোতেও পানি ঢুকে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সড়কে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের প্রায় ১০ জন শিক্ষক ভাড়া বাসায় থাকেন। সেই সুবাধে প্রতিদিনই শতাধিক শিক্ষার্থী সড়কটি ব্যবহার করেন। স্থানীয় এক ব্যাংক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইট সরবারহ করলে সাময়িকভাবে লোকজনের চলাচলের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে সেটি এখন বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পৌরসভার অন্য কোথাও এরকম খারাপ সড়ক নেই। হায়দার আলী সড়কটি প্রায় ১৮ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ভেঙে গেলেও কখনো মেরামত করা হয়নি। সড়কটি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জনপ্রতিনিধিরা তা ভুলে গেছেন। নির্বাচন শেষ হলে তাদের কোনো খোঁজ থাকে না।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে সড়কটির কাজ শুরু হবে। বৃষ্টির কারণে এখন কোনো কিছু করা যাবে না। তবে বৃষ্টি শেষ হলে ড্রেন পরিষ্কারের জন্য বলা হবে।’