নাটোরের বাজারে ‘সিজারিয়ান পেঁয়াজ’
নাটোর শহরের বাজারগুলোতে অপরিপক্ব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা এই পেঁয়াজের নাম দিয়েছেন ‘সিজারিয়ান পেঁয়াজ’। মূলত মাঠ থেকে অপরিপক্ব অবস্থায় তুলে এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে বলে নাম দেয়া হয়েছে সিজারিয়ান পেঁয়াজ।
পাতাসহ এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ক্রেতাদের চাহিদা মতো। ১৫ থেকে ২০টি পেঁয়াজ দিয়ে একটি আঁটি বাঁধা হচ্ছে। আর এক আঁটি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে। দুই আঁটি পেঁয়াজের ওজন প্রায় ২৫০ গ্রাম। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে।
আর বাজারে পরিপক্ব পেঁয়াজ ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে সিজারিয়ান পেঁয়াজের দাম কম। তাই বাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গে তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে শহরের স্টেশন বাজার, নীচাবাজার ও মাদরাসা মোড় কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, অপরিপক্ব এসব পেঁয়াজের মূল ক্রেতা খাবার হোটেলগুলো। পাশাপাশি দাম কম হওয়ায় এ পেঁয়াজ কিনছেন ভোক্তারাও।
আবদুল আলীম নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। তাই বাধ্য হয়ে সিজারিয়ান পেঁয়াজ কিনছেন।
স্টেশন বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন জানান, মানুষের পেঁয়াজ দরকার। তাই কোনটা পরিপক্ব আর কোনটা অপরিপক্ব তা বিবেচনা করছে না ক্রেতারা।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বাগাতিপাড়া শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আফতাব খান সুইট জানান, কিছু অর্থলোভী মানুষ জমিতে রোপণকৃত পেঁয়াজ পরিপক্ব হওয়ার আগেই বিক্রি করছে। যথাযথ বাজার মনিটরিং না থাকায় এমনটা হচ্ছে।