নেত্রকোনায় সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর আরও এক প্রসূতির মৃত্যু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে অপারেশনের পর ইয়াসমিন আক্তার (২৮) নামে আরও এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রসূতি ইয়াসমিন আক্তার নেত্রকোনা পৌর শহরের দক্ষিণ কাটলী বঙ্গবন্ধু মোড় এলাকার বাসিন্দা লোকমান মিয়ার স্ত্রী।

প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসক ও নার্সদের গাফিলতির কারণেই তার মৃত্যুর হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মারা যাওয়া প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইয়াসমিন আক্তার গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রসব ব্যথা নিয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ওইদিন দুপুরের দিকে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও গাইনি সার্জন রঞ্জন কুমার কর্মকার তার অপারেশন করেন। পরে তার পালস (স্পন্দন) কমতে থাকলে এবং অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলের দিকে ইয়াসমিন আক্তার মারা যান।

এ বিষয়ে রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন, 'অপারেশনে কোনো ত্রুটি ছিল না। অপারেশনের অনেক পরে তিনি (ইয়াসমিন) অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে আমাদের জানা নেই।'

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার গাইনি চিকিৎসক রঞ্জন কর্মকার ও জান্নাত আফরোজ নূপুর মোট পাঁচজন প্রসূতির অপারেশন করেন। এ সময় আবেদনবিদ হিসেবে ছিলেন প্রীতি রঞ্জন। এর আগে, মোহনগঞ্জ উপজেলার লিমা চৌধুরী নামে এক প্রসূতি গত মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে মারা যান।

লিমার বাবা জিয়া উদ্দিন চৌধুরী এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের কাছে কর্তব্যরত নার্স ও আয়াদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন তাজুল ইসলাম খান বলেন, 'দুজন প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় কারও অবহেলা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে লিমা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় সার্জারি কনসালট্যান্ট শফিকুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।'