স্বামীকে মোটরসাইকেল দিতে না পারাই কাল হলো মিনুফার!

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

জীবিত মেয়েকে রেখে চা পান করতে গিয়ে ফিরে এসে বাবা পেলেন মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ। কারারক্ষী জামাতাকে বিশাল অংকের টাকা দেওয়ার পর একটি মোটরসাইকেল দিতে না পারায় মোস্তফা শিকদারের মেয়ে মিনুফাকে (২৩) মরতে হল বলে অভিযোগ পরিবারের। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামে জামাতা লোকমান শেখের ঘরে মিনুফার ঝুলন্ত মরদেহ দেখেন বাবা। জামাতা লোকমান শেখ বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত।

বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ইছামতি গ্রামের খলিলুর রহমান শেখের ছেলে লোকমানের সাথে বিয়ে হয় নড়াইলের খাসিয়াল এলাকার বাসিন্দা মোস্তফা শিকদারের মেয়ে মিনুফার। বিয়ের পর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লোকমান শেখ শ্বশুরের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় লোকমান তার শ্বশুরের কাছ থেকে বিভিন্ন উপঢৌকন গ্রহণ করেন। মেয়ে দেখতে খুব ভালো না হওয়ায় জামাতার প্রায় সব চাহিদাই মেটানোর চেষ্টা করেন মোস্তফা শিকদার। কিন্তু তারপরও জামাতার হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে মিনুফাকে। বাধ্য হয়ে মিনুফা চলে যান বাবার বাড়ি। তিন দিন আগে বাবা তাকে সাথে করে নিয়ে আসেন শ্বশুর বাড়ি।

বৃহস্পতিবার সকালে ফজরের নামাজের পর মোস্তফা শেখ মেয়ের সাথে কথা বলে বাইরে যান চা পান করতে। ফিরে এসে দেখেন তার মেয়ের মরদেহ ঝুলছে ঘরের আড়ার সাথে। তখন জামাতা লোকমানকে কোথাও দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

খবর পেয়ে তেরখাদা থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার রায় ঘটনাস্থলে যান। মিনুফার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করার জন্য প্রেরণ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওসি জানান, মিনুফার মাথায় আঘাতের দাগ রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, যে ঘরে মিনুফার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, ওই একই ঘরে দশ বছর আগে লোকমানের ভাই আসাদুজ্জামান বাবুর স্ত্রী শ্যামলী আকতারের মরদেহও পাওয়া যায়।