পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে

  • মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মেহেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পেঁয়াজ। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পেঁয়াজ। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মেহেরপুরে প্রতি কেজি পেঁয়াজের পাইকারি দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মাঝে পেঁয়াজ কেনায় অনীহা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর জেলার কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পেঁয়াজের ক্রেতা একদম নেই বললেই চলে। এমনকি পাইকারি ব্যবসায়ীদের আড়তে পেঁয়াজ মজুদ নেই। খুচরা বাজারেও একই অবস্থা। ক্রেতা না থাকায় খুচরা বিক্রেতারা সামান্য পরিমাণ পেঁয়াজ রেখেই কেনাবেচা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জেলার সবচেয়ে বড় মরিচ-পেঁয়াজ আড়ত গাংনী কাঁচা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সাহাদুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে ১৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাইকারি ২০০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। আমরা মূলত কুষ্টিয়ার রাজারহাট ও সোনাপুর বাজার থেকে পেঁয়াজ ক্রয় করে থাকি। পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল থাকার কারণে আপাতত ক্রয় করা বন্ধ রেখেছি।’

একই বাজারের আড়তদার বাবুল আক্তার বলেন, ‘কৃষকের ঘরের পেঁয়াজ অনেক আগেই ফুরিয়েছে। দর্শনা, বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় এলসি পেঁয়াজ আসছে না। অপরদিকে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজে পানির পরিমাণ বেশি। স্বাদ নেই, তাই ভোক্তা পর্যায়ে তা ক্রয়ে অনীহা দেখা দিয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছেও পেঁয়াজের তেমন চাহিদা নেই।’

বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তাই ক্রেতারা এসে ১০০ গ্রাম বা ২০০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনছেন। এর বেশি কেউ নিচ্ছেন না। এ কারণে আগের মতো ১৪-১৫ মণ পেঁয়াজ কিনে এনে বিক্রি করা হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন