ঘূর্ণিঝড় সিডরের এক যুগ: এখনো অরক্ষিত উপকূল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

১৫ নভেম্বর ২০০৭, উপকূলের মানুষের কাছে বিভীষিকাময় একটি দিন। এই দিনে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিডর। সরকারি হিসাবে সে সময়ে ৬৭৭ জনের প্রানহাণির কথা বলা হলেও বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও বেশি। তবে দীর্ঘ ১২ বছরেও উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ এবং পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার গড়ে উঠেনি। আর এ ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি পিছিয়ে আছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরগুলো। তাইতো উপকূলের সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের দাবি এ অঞ্চলের মানুষের।

সরকারী হিসাবে পটুয়াখালী জেলায় ৪০৩টি সাইক্লোন শেল্টার থাকার কথা বলা হলেও উপকূলের অনেক চরে এখনও প্রয়োজনীয় সাইক্লোন শেল্টার গড়ে উঠেনি। ফলে ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে এসব চরের মানুষকে বছরের পর বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়া উপকূলের অনেক এলাকা আছে যেখানে এখনও প্রয়োজনীয় বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়নি। এক যুগ আগে বেড়িবাঁধ আর সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় স্বজন হারানো মানুষগুলো আজও সেদিনের স্মৃতি স্মরণ করে আঁতকে উঠেন।

বিজ্ঞাপন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় এই চরে ৩৮ জন মানুষ নিহত হয়। তবে আজও এই চরে প্রয়োজনীয় সাইক্লোন শেল্টার কিংবা বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়নি। এ কারণে এখনও ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের খবরে ভয় আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এই এলাকাবাসীর মধ্যে। তবে বিচ্ছিন্ন এই চরে প্রয়োজনীয় সাইক্লোন শেল্টার এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি বলে জানান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাছ মোল্লা।

শুধু চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নই নয় উপকূলের অধিকাংশ চরের এখনও এমন নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে যে কোনো দুর্যোগে এসব চরের মানুষের জীবন ও সম্পদ হানির পরিমাণ অনেকটা বেশি। এ কারণে দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ত্রাণ তৎপরতার পরিবর্তে উপকূলকে সুরক্ষায় টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ করার দাবি উপকূলের বাসিন্দাদের।

বিজ্ঞাপন