বগুড়ায় হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক উদ্ধার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর পুলিশ শিশুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেই সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে শিশু চুরির সাথে জড়িত রেশমা খাতুন (৩৫) নামের এক নারীকে। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত সাত্তার মন্ডলের মেয়ে। বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনি এলাকার ফারুক হোসেনের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

বিজ্ঞাপন

রাতেই বগুড়া সদর থানায় বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা শিশুটির বাবা সৌরভ মিয়ার কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করেন। এসময় শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এসএমএম সালেহ ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রসূতি এবং নবজাতককে দ্রুত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এ সময় বগুড়ার পুলিশ সুপার নবজাতক ও প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর চিকিৎসা ও নবজাতকের উন্নত খাবারের জন্য ব্যক্তিগতভাবে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বুধবার হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা জানার পর পরই পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার রাতে খবর পাওয়া যায় নবজাতকটি রামচন্দ্রপুর গ্রামে রেশমা খাতুনের কাছে আছে। পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে রেশমা খাতুন নবজাতৃককে নিয়ে শহরে লতিফপুর এলাকায় ফারুক হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয় এবং রেশমাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রেশমার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি রামচন্দ্রপুর গ্রামে বসবাস করেন। তার নির্দিষ্ট কোন পেশা নেই। ধারণা করা হচ্ছে বিক্রি করে দেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি হাসপাতাল থেকে কৌশলে নবজাতকটিকে চুরি করেন।

উল্লেখ্য, বগুড়ার কাহালু উপজেলার নলঘরিয়া গ্রামের সৌরভ মিয়ার স্ত্রী নাহিদা আক্তার শজিমেক হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর ওয়ার্ডে নেয়ার সময় নবজাতকটি চুরি হয়ে যায়।