পঞ্চগড়ে পেঁয়াজের ঝাঁজে কমছে নিম্ন আয়ের ক্রেতা
সারা দেশের ন্যায় পঞ্চগড়েও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। জেলার পাঁচটি উপজেলা শহরের বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে। তবে কিছু কিছু মফস্বল এলাকায় সেই পেঁয়াজ ৩০০-এর ঘরে ছুঁই ছুঁই। ফলে পেঁয়াজের এ উচ্চ দামে অতিষ্ঠ জেলার সকল পেশার মানুষ। তবে পেঁয়াজের ঝাঁজে নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষ চাহিদার তুলনায় সীমিত আকারে পেয়াজ ক্রয় করছেন।
পেঁয়াজের চড়া দাম নিয়ে কথা হয় পঞ্চগড় কাঁচামাল ব্যবসায়ী আইজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমদানি কম হওয়ায় ও পাইকারি মূল্য বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে ২৬০ টাকা হয়েছে। তবে পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে পাইকারি দামও হ্রাস পাবে। এতে আমরাও কম দামে পেঁয়াজ সাধারণ ক্রেতাদের দিতে পারব।’
তেঁতুলিয়ার ভজনপুর এলাকার ভ্যানচালক জিতেন রায় বলেন, ‘১৪০ টাকা থেকে হঠাৎ করে পেঁয়াজের কেজি ২৬০ টাকায় এসেছে। তাই ২৫০গ্রাম পেঁয়াজ নিয়ে বাড়ি ফিরছি। এতে আমাদের গরিব মানুষদের খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছ।’
একই দুর্ভোগের কথা জানান সদর উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের কৃষক বসির আলম। তিনি বলেন, ‘এক মণ ধানের দাম ৪৫০টাকা ও এক মণ চা পাতার দাম ৩৫০টাকা আর এক কেজি পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকা। আমরা কৃষকরা যখন যে আবাদ করি তখন সেই আবাদের দাম পাই না, যেটা করি না সেটার দাম আগুন।’
এদিকে, পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে প্রশাসনের মনিটরিংয়ের অভাব ও অসাধু ব্যবসায়ীদের পরিকল্পিত ভাবে গুদামজাত করাকে দায়ী করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা ভোক্তা অধিকার সহকারী পরিচালক শেখ সাদী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বাজারে নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি। তবে পেঁয়াজের উচ্চ দাম আমদানির উপর নির্ভর করছে।’