২৫০ কেজি ওজনের হাউস মাছ দেখতে ভিড়
ভৈরব কিশোরগঞ্জ থেকে ফিরে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মাছের আড়তে ২৫০ কেজি ওজনের একটি হাউস বা পান পাতা মাছ নিয়ে এসেছেন জেলেরা। আর এতবড় মাছ দেখতে আড়তের সামনে ভিড় করেছেন উৎসুক সাধারণ মানুষ। এতবড় মাছ দেখে সবারই চোখ যেন ছানাবড়া।
জানা গেছে, মনির এন্টারপ্রাইজ আড়তের মালিক মনির হোসেন মাছটির দাম চেয়েছেন ১ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে একজন ক্রেতা দাম বলেছেন ৪০ হাজার টাকা। তবে মাছটি বিক্রি না হলে কেটে কেজি হিসেবে বিক্রি করা হবে।
সরেজমিনে মাছের আড়তে দেখা গেছে, মনির এন্টারপ্রাইজ মৎস্য আড়তের সামনে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ভিড় মাড়িয়ে ভেতরে গিয়ে দেখা গেল বিশাল দৈত্যাকার এক হাউস মাছ। ভৈরব কিংবা এর আশপাশের এলাকায় এই মাছ অনেকেই পান পাতা মাছ বলে চেনেন। বিলুপ্তপ্রায় এই মাছটি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মাছটি কেনার আগ্রহ দেখালেও এতবড় মাছ কেউ কিনতে পারছেন না।
এদিকে জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভৈরবের ফুলতাকান্দি এলাকার জেলে আলমগীর, মালেক মিয়া, মিলন ও আলকাস মিয়াসহ ৮ জন জেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মইনপুর এলাকার শনিবার দুপুরে মেঘনা নদীতে বেড় জাল ফেলেন। জাল টানার সময় হঠাৎ জালের মধ্যে বড় দৈত্যাকার কিছু দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে যান সকলেই। পরে জালটি কাছে আনার পর দেখতে পান হাউস মাছ। আটজন জেলে টেনে মাছটি নৌকায় তুলতে না পারায় আরো কয়েকজন জেলের সহযোগিতা নেন তারা।
এত বড় মাছ পেয়ে জেলেরা বেশ খুশি হন। পরে বিকালে মাছটি বিক্রির উদ্দেশে ভৈরব ফেরিঘাট এলাকার নৈশ মৎস্য আড়তের মনির এন্টারপ্রাইজে আনা হয়। এ সময় তারা মাছটির দাম হাকা হয় এক লাখ টাকা।
জেলে আলমগীর মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘এতবড় মাছ দেখে আমরা প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। পরে মাছটি কাছে আসার পর খুশিতে মনটা ভরে গিয়েছে। সুতার জালে মাছ ধরে আমাদের জীবন চলে। এতবড় মাছ বিক্রি করতে পারলে অনেক টাকা পাবো। আশা করি কয়েকটা দিন ভালভাবে চলতে পারবো।’
আরেক জেলে মালেক মিয়া জানান, ১০/১২ জন টেনে মাছটি তীরে তোলা হয়। অন্য মাছের আশায় জাল ফেলেন তারা। এই মাছটি পেয়ে তারা বেশ খুশি। আশা করছেন, মাছটি লাখ টাকা বিক্রি হবে।
উপস্থিত একজন মাছ ক্রেতা জানান, জীবনে অনেক বড় বড় মাছ দেখেছেন এই আড়তে। তবে এতবড় হাউস মাছ আগে কখনো দেখেননি। তবে মাছটি কেটে বিক্রি করলে তারা কিনতে আগ্রহী।
ভৈরব মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী ও মনির এন্টারপ্রাইজের মালিক মনির হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘মাছটির ওজন অন্তত ২৫০ কেজি। জেলেরা আমার কাছে এক লাখ টাকা দাম চেয়েছেন। আমি দেখছি মাছটি কত বিক্রি করতে পারি। যদি একসাথে কেউ মাছটি নিতে না চান তাহলে মাছটি কেটে বিক্রি করা হবে। তবে ইতোমধ্যেই মাছটি একজন ক্রেতা ৪০ হাজার টাকা দাম বলেছেন। আমরা আরো বেশি দামে বিক্রি করতে চাই।’