দেড়শ বছরেও হয়নি চা শ্রমিকের মজুরি ১৫০ টাকা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মৌলভীবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চা শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সভা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চা শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সভা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

দেশের চা শিল্প দেড়শ বছর পার করতে যাচ্ছে। কিন্তু এই দেড়শ বছরেও চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৫০ টাকা হয়নি। উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান সবদিক থেকেই বঞ্চিত চা শ্রমিকরা। চা বাগানগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সরকারী স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র। অথচ এই চা শ্রমিকদের শ্রমের ঘামেই দেশের চা শিল্প আজ এতদূর এগিয়ে গেছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের আয়োজনে অধিদফতরের মৌলভীবাজার উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে চা শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে ‘কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার’ শীর্ষক সভায় জুড়ী চা ভ্যালির সহ সভাপতি ও চা নারী নেত্রী শ্রীমতি বাউরী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

চা শ্রমিক সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে উক্ত সভায় বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন চা ভ্যালি থেকে আসা চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন।

শ্রীমতি বাউরি অভিযোগ করেন, 'এখনও চা বাগানগুলোতে বাবু সাহেবদের দ্বারা নারী শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত যৌন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সামাজিক পরিস্থিতি আর জীবিকার তাগিদে মুখ ফুটে তারা প্রতিবাদ করতে পারেন না। আমরা এর প্রতিকার চাই।'

বিজ্ঞাপন

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক জনাব মো. মাহবুবুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহা-পরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক জনাব এ কে এম মিজানুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, শ্রম অধিদফতরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও সভায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা ফোরকান আহসান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রাম ভোজন কৈরিসহ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব বলেন, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধ এবং নারী শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতরগুলো কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে হলে বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীগণকে এগিয়ে আসতে হবে। আর নারীর প্রতি সহিংসতা বজায় থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হবে না।

বর্তমান সরকার শ্রমবান্ধব সরকার উল্লেখ করে সচিব বলেন, নারীরা এখন বড় বড় জায়গা থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং যেকোনো ধরনের অশোভন আচরণ রোধে সরকার প্রস্তুত রয়েছে।