মুজিববর্ষে অতিরিক্ত কাজ করবে আইসিটি বিভাগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ছবি: সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে ঘোষিত মুজিববর্ষে অতিরিক্ত কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। এরই অংশ হিসেবে বর্ষজুড়ে স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার চেয়ে বেশি কাজ করবে আইসিটি ডিভিশনের প্রতিমন্ত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। পাশাপাশি থাকছে অনলাইন প্লাটফর্মে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সংগ্রামী জীবন নিয়ে উপস্থাপনা।

মুজিববর্ষে নিজ বিভাগের কর্মসূচি সম্পর্কে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে সরকার। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ে মুজিববর্ষ উদযাপনে ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে আইসিটি বিভাগ ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষ উদযাপনে বিশেষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা তরুণদের নিকট থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশেষ লোগো আহ্বান করেছিলাম। প্রায় ৩ হাজার লোগো থেকে শর্টলিস্ট করা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আইসিটি বিভাগ শতাধিকের বেশি কৌশল গ্রহণ করেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘এই কৌশলের আওতায় আইসিটি পরিবারের সবাই মুজিববর্ষে অতিরিক্ত এক শতাধিক ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি কাজ করবে। যেমন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা আগে অফিস করবে বা ছুটির পরও অতিরিক্ত এক ঘণ্টা কাজ করবে। পাশাপাশি মুজিববর্ষে ১০ কোটি মানুষের জন্য ১০০টি সেবা উন্মুক্ত করা হবে।বঙ্গবন্ধু তার জীবনের মূল্যবান সময় দেশের জন্য জেল খেটেছেন। তার এই মহান ত্যাগের স্মরণ আইসিটি বিভাগ করবে অতিরিক্ত কাজের মাধ্যমে।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দিনটি উদযাপিত হবে প্রযুক্তিভিত্তিক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে। এ বিষয়ে পলক বলেন, ‘৩ মিনিটের একটি হলোগ্রাফিক উপস্থাপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদর্শিত হবে যেখানে মনে হবে বঙ্গবন্ধু নিজেই ভাষণ দিচ্ছেন।’

বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশরই নয় বরং সারা বিশ্বের মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন, আদর্শ ও সংগ্রামের দিনলিপি তুলে ধরে দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করতে সহায়ক হবে।’