বেনাপোলে পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট, আমদানি বন্ধ
পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘটের ফলে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বিভিন্ন কাঁচামালসহ জরুরি পণ্যবাহী কয়েকশত ট্রাক বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে। নতুন সড়ক পরিবহন আইনের কারণে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই এই ধর্মঘট শুরু হয়।
বাস চালকরা বলছেন, সরকারের এই আইন মানেন না তারা। আইনের পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর থেকে কোনো আমদানি পণ্য বা যাত্রী বহন করবেন না তারা।
ধর্মঘটের বিষয়ে ট্রাক চালক হান্নান বলেন, ‘সরকার চালকদের ওপর চাপিয়ে যে মনগড়া আইন করেছে সেটা একতরফা। এ আইনের বিরোধিতা করছি। আইন সংশোধন না করা পর্যন্ত বন্দর এলাকা থেকে কোনো পণ্য পরিবহন করবেন না।’
বাসচালক আব্দুল গফুর বলেন, ‘শুধু আইন পাশ করলে হবে না। এর আগে মহাসড়ক থেকে নসিমন, করিমন বন্ধ করতে হবে। মহাসড়কে কোথাও কোনো পরিবহন পার্কিং নেই। রাস্তায় দাঁড়ালে জরিমানা করে পুলিশ। বাস দুর্ঘটনা হলে পুলিশ বলে গাড়ির ফিটনেস নেই। তাহলে দুর্ঘটনার আগে যখন বাস রাস্তায় চলেছে তখন ট্রাফিক কী করেছে।’
বেনাপোল গ্রিনলাইন পরিবহনের ডেস্ক ম্যানেজার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ভারত ফেরত কিছু যাত্রী কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন। ধর্মঘট ডেকেছে শ্রমিকরা। তারা বাস না চালানোয় গাড়ি ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে তারাও চায় না যাত্রীদের দুর্ভোগ হোক।’
সকালে ভারত ফেরত যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, ‘চালকদের খামখেয়ালিপনার কারণে সড়কে দুর্ঘটনা হয়। একটি মানুষ যখন বাস বা ট্রাক চাপায় নিহত হয় তার পরিবার পথে বসে। সরকার চালকদের সতর্ক করতে যে আইন করেছে তাকে সাধুবাদ জানাই।’
যাত্রী সোমা বেগম বলেন, ‘বাস চালকদের ধর্মঘট নৈরাজ্যে আমাদের দুর্ভোগ হলেও আমরা চাই এ আইন বাস্তবায়ন হোক।’
উল্লেখ্য বাণিজ্য, ভ্রমণ ও চিকিৎসার উদ্দেশে প্রতিদিন এ পথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া বন্দর থেকে ৫-৭ শতাধিক ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দরে শ্রমিক ধর্মঘটে অচলাবস্থা নেমে আসায় ভোগান্তি বেড়েছে।’