পাবনায় কাকলী হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পাবনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড, ছবি: সংগৃহীত

হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড, ছবি: সংগৃহীত

পাবনায় গার্মেন্টস কর্মী কাকলী খাতুনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় অপর দুইজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম এ রায় দেন

মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের মৃত আনোয়ার খানের ছেলে ইকবাল খান (৪৪) ও পাবনার সুজানগর উপজেলার নিয়োগীর বনগ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে আজিম উদ্দিন (৪৫)। খালাসপ্রাপ্ত দুইজন হলেন, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মৃত রবু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৭) ও একই উপজেলার ছয়শো করোটিয়া গ্রামের মৃত ছাইদ মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া (৫৫)।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার রুবেল হোসেনের কাছে চলে যান রাজবাড়ির কালুখালি উপজেলার জলিল সরদারের মেয়ে গার্মেন্ট কর্মী কাকলী খাতুন। পরে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে কাকলী খাতুনকে নিয়ে যায় রুবেলের বন্ধু ইকবাল ও আজিম। ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ফিরিয়ে না দিয়ে পাবনার সুজানগরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর সুজানগরের রামজীবনপুর মাঠ থেকে পুলিশ কাকলীর মরদেহ উদ্ধার করে। ওই সময় অজ্ঞাতনামা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে জড়িত সন্দেহে উল্লেখিত চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে দুইজন ইকবাল ও আজিম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৬ জুন ওই চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সুজানগর থানার এসআই জুলফিকার আলী। মামলায় ১৬ জনের স্যাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। প্রমাণ শেষে বুধবার ইকবাল ও আজিমকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। এছাড়া রুবেল ও ইয়াসিন নামের দুইজনকে খালাস দেন। রায় ঘোষণার সময় ৩ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী মকবুল আহমেদ বাবু, অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ও অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন।