পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্রের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

  • মোহাম্মদ রনি মিয়াজী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পঞ্চগড়
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্রের দোকানে ক্রেতারা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্রের দোকানে ক্রেতারা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড়ের বিভিন্ন হাট-বাজার কিংবা ফুটপাতে গড়ে ওঠা শীতের পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। দোকানগুলোতে মানুষের এমন ভিড় জানান দিচ্ছে আগাম শীতের।

দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, এ এলাকায় শীতের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে হিমালয়ের পাদদেশে জেলাটির অবস্থান হওয়ায় অন্যান্য জেলার তুলনায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। ফলে শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় সংগ্রহে মার্কেট ও ফুটপাতের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে ভিড় করতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। কিন্তু এ জেলার মানুষের কাছে নতুন কাপড়ের পাশাপাশি পুরাতন কাপড়ের চাহিদাও থাকে। এতে বিভিন্ন হাট-বাজার, ফুটপাতেও পুরাতন কাপড়ের দোকানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে দেখা যায়, স্থায়ী ও অস্থায়ী শীতের কাপড় দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্রের দোকানে ক্রেতারা
ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানে ক্রেতারা

এ বিষয়ে জেলার তেঁতুলিয়া বাজারের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'আমি প্রতি বছর শীতের মৌসুমে বিভিন্ন হাট বাজারে পুরাতন কাপড়ের দোকান বসাই। কাপড়গুলো সৈয়দপুর থেকে পাইকারি দরে ক্রয় করে পরে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। এতে যা লাভ হয় তা দিয়েই আমি সংসার চালাই।'

বিজ্ঞাপন

এদিকে জেলার তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের ক্রেতা খাদেমুল ইসলাম বলেন, 'হঠাৎ করে শীত নামার কারণে ঠাণ্ডা নিবারণের জন্য একটি সোয়েটার কিনলাম ৮০ টাকা দিয়ে। সামর্থ্য না থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষজন ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে শীতের পোশাক ক্রয় করি।'

বৃদ্ধা জাহানারা খাতুন বলেন, 'ফুটপাতের দোকান হলো গরিবের মার্কেট। আমরা গরিব মানুষরা এ দোকানগুলো থেকে কাপড় কিনে পরিধান করি'।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, 'হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় পঞ্চগড়ে অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক আগেই শীত নামে। ফলে শীতের তীব্রতা এ জেলায় অনেক বেশি।'