সড়কের কাজ না করেই বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তায়েন্টিফোর.কম, পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সড়কটি আরসিসি ঢালাই কথা থাকলেও হয়নি কাজ,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সড়কটি আরসিসি ঢালাই কথা থাকলেও হয়নি কাজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পটুয়াখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের টাউন জৈনকাঠী চাচার খাল বক্স কালভার্ট থেকে ফুলতলা খালের উত্তর পাশের সড়কটি আরসিসি পাকা না করেই টাকা তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।

অভিযোগ আছে, তৎকালীন মেয়রের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২ কোটি ৩০ লাখ ৫৪ হাজার ৭১২ টাকা আত্মসাৎ করেছে। ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই মাটির রাস্তাটি আরসিসি ঢালাই দিয়ে কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে বিল তুলে নেন ঠিকাদার। কিন্তু সড়কটি এখনও মাটিরই রয়ে গেছে। তবে এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করায় তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আরসিসি সড়ক নির্মাণ কাজের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৩৮ লাখ ২ হাজার ৯২৯ টাকা। কাজটি সম্পন্ন করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পল্লী স্টোর্সকে ২০১৬ সালের ৪ জুলাই কার্যাদেশ দেওয়া হয়। পরে একই বছরের ৩০ অক্টোবর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করে চূড়ান্ত বিলের আবেদন করা হয়। চূড়ান্ত বিল থেকে ৭ শতাংশ ভ্যাট বাবদ ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩০ টাকা, ৫ শতাংশ আয়কর বাবদ ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ২৮২ টাকা এবং ১০ শতাংশ জামানত বাবদ ২৩ লাখ ৫ হাজার ৪১৭ টাকা কেটে রাখা হয়।

আরো জানা গেছে, কাজ চলা অবস্থায় এক কোটি ৭৭ লাখ ৫২ হাজার ১২৯ টাকার বিল নেওয়া হয়। চূড়ান্তভাবে বাকি ৬৯ লাখ ৫২ হাজার ১২৯ টাকা বিল প্রদান করা হয়। তবে প্রায় আড়াই বছর আগে সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে বিল তুলে নিলেও বাস্তবে সড়কের বড় একটি অংশ এখনও মাটিরই রয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিষয়গুলো দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সড়ক নির্মাণ না করে বিল তুলে নেয়ার বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। কিভাবে এসব বিল প্রদান করা হয়েছে সে বিষয়ে তৎকালীন মেয়র মো. শফিকুল ইসলামের সাথে আমি কথা বলবো। আর এ বিষয়ে ইতোমধ্যে দুদক তথ্য উপাত্ত চেয়ে পৌরসভাকে চিঠি দিয়েছে। আমরা যাবতীয় কাগজপত্র সরবরাহ করেছি।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাবেক মেয়র ডা. মো. শফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।