মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়ে ফেলা চিকিৎসকের শাস্তি চাইলেন কাদের সিদ্দিকী
টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা শাজাহানের সনদ (মুক্তিযোদ্ধা সনদ) ছিঁড়ে ফেলা চিকিৎসকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) অসুস্থ ওই মুক্তিযোদ্ধাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে এমন দাবি জানান তিনি।
এ সময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে চিকিৎসক শহীদুল্লাহ কায়সারকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি ।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ছেঁড়া মানে পুরো জাতিকে ছিঁড়ে ফেলা। এই ডাক্তারের কোন অধিকার নেই ডাক্তারি করার।
এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যমে হাসপাতালের চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়ে ফেলার সংবাদ প্রচার প্রকাশিত হয়। এরপরই সোমবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্ধিকী অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে হাসপাতালে দেখতে যান।
অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্বজনরা জানান, গত ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল কালিহাতি উপজেলার মহেলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান ভূইয়া শারীরিক চিকিৎসা নিতে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ২১ নভেম্বর হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সার সকালে ভিজিট করতে এসে রোগীর ফাইল দেখেন। ফাইলে রাখা মুক্তিযোদ্ধা শাজাহানের মুক্তিযুদ্ধের সনদ দেখে ক্ষিপ্ত হন তিনি। ‘এই সনদ এখানে কেন, সনদ কি রোগীর চিকিৎসা করবে, না ডাক্তার করবে’ বলে সনদটি ফাইল থেকে বের করে ছিঁড়ে ফেলে দেন।
টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।