অসময়ে যমুনায় ভাঙন, নদীগর্ভে ১২ স্থাপনা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, সিরাজগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অসময়ে যমুনা ভাঙনে আতঙ্ক এলাকাবাসী, ছবি: সংগৃহীত

অসময়ে যমুনা ভাঙনে আতঙ্ক এলাকাবাসী, ছবি: সংগৃহীত

তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে ১২টি বসতভিটাসহ তীর সংরক্ষণ কাজের দু’টি স্থানে প্রায় ২’শ মিটার এলাকায় ধস নেমেছে। অসময়ে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।

জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে যমুনার পশ্চিম পাড়ের খুকনী ইউনিয়নের ব্রাহ্মনগ্রাম, আড়কান্দি ও জালালপুরে চলছে নদী ভাঙন।

বিজ্ঞাপন

অসময়ে নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সি ইনস্টিটিউট, দেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের হাট, এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, ৬টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ১৬টি তাঁত কারখানাসহ বহু ঘরবাড়ি। এ বিষয়ে খুকনী ইউপি সদস্য সোহরাব আলী জানান, শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় ভয়াবহ গর্জন ও ভাঙন দেখে এলাকাবাসী আতঙ্কিত।

রোববার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মনগ্রামে ডাম্পিং করা জিও ব্যাগের দু’টি স্থানে প্রায় ২’শ মিটার এলাকা ধসে গেছে। বিশেষ করে আড়কান্দি জামে মসজিদের পূর্ব পাশে নজরুল ও হোসেন আলী বসতভিটা সহ প্রায় ১২টি বাড়ি চোখের পলকেই নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ব্রাহ্মনগ্রাম তারকা জামে মসজিদের ইমাম নজরুল ইলাম জানান, ভাঙন প্রতিরোধে পাউবো কর্মকর্তারা স্থায়ী তীর সংরক্ষণ কাজের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অসময়ে নদীর ভাঙন দেখে সবাই আতঙ্কিত। বর্ষায় কি হবে আল্লাহই জানেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন এনায়েতপুর থানা শাখার সভাপতি মো. শেখ শামীম, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদীতে নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় পশ্চিম তীরে স্রোত আছড়ে পড়ায় অসময়ে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মনগ্রাম ও আড়কান্দি চরে ভাঙনের বিষয়টা জেনেছি। স্থায়ী তীর সংরক্ষণ কাজের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। কাজ হলে এলাকাটি রক্ষা পাবে।