জেলা পরিষদের ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ, প্রধান সহকারী বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নারায়ণগঞ্জ
জেলা পরিষদ কার্যলয়

জেলা পরিষদ কার্যলয়

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের বিভিন্ন খাতে আয় করা প্রায় ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা পরিষদকে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ অধিশাখা। একই সাথে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের জমি লিজ, ঘাট ইজারা, ডাকবাংলোর ভাড়াসহ বিভিন্ন খাতের মোট ৭৮ লাখ ৪ হাজার ১৩০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন রেজাউল করিম। তবে অভিযুক্ত রেজাউল করিম আত্মসাৎকৃত ৭৮ লাখ টাকা দফায় দফায় পরিশোধ করছেন বলেও জানা যায়। টাকা ফেরত দিতে থাকলেও আইন অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করবেন তিনি।

এ সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ১৮ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ড. জুলিয়া মঈন এক অফিস আদেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আত্মসাৎকৃত টাকা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ প্রদান করা হয় লিখিত আদেশে।

জেলা পরিষদের একাধিক সূত্র জানায়, ১৭ বছরের সরকারি চাকরি জীবনের পুরো সময়ই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে ছিলেন রেজাউল করিম। প্রভাবশালী চক্রের সঙ্গে তার সখ্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলার সাহস করতেন না।

জানা যায়, কেবল সরকারি অর্থ আত্মসাতই সীমাবদ্ধ ছিলেন না রেজাউল করিম। চাকরিতে প্রবেশেও আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রতারণার। ২০০১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদে উচ্চমান সহকারী পদে যোগদান করেন চাঁদপুর জেলার মতলব থানার চরলক্ষীপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দীকের ছেলে রেজাউল করিম। যোগদানের ২৪ দিনের মাথায় বদলি হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে যোগদান করেন।

চাকরির ১৭ বছর পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে রেজাউল করিমের সার্টিফিকেট জমা না দিয়ে চাকরি নেওয়ার বিষয়টি। জাল সার্টিফিকেটে মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী পদে যোগদান করা ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালের দুদকের এক মামলায় কারাগারেও গিয়েছিলেন তিনি।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ওমরাহ হজ পালনে দেশের বাইরে থাকায় তার সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত পাল জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র তৈরি করা হচ্ছে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ইতোমধ্যে আত্মসাৎকৃত ৭৮ লাখ টাকা তিনি দফায় দফায় ফেরত দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ২০ লাখ টাকার মতো ফেরত দিয়েছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;