ফরিদপুর মেডিকেলে পর্দা কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের মামলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুর মেডিকেলে পর্দা কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের মামলা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ফরিদপুর মেডিকেলে পর্দা কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের মামলা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের বহুল আলোচিত পর্দা কেলেঙ্কারিসহ সরঞ্জামাদি ক্রয়ে ১০ কোটি টাকা দুর্নীতির ঘটনায় মামলা করেছে দুদক।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে তিন চিকিৎসকসহ ছয় জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। ফরিদপুরের দুদকের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলা নং-৪।

বিজ্ঞাপন

মামলায় আসামি করা হয়েছে সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও ফমেক হাসপাতালের সাবেক প্যাথলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম।

আসামিদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতীত উচ্চ মূল্যে হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগ করা হয়। ধারা ৪০৯/৫১১/১০৯, দণ্ডবিধির তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এ মামলা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় তদন্ত করতে দুদককে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। এ জন্য ছয় মাস সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল। এরপর হাসপাতালটির আইসিইউর পর্দা ও আসবাব কেনাকাটায় ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মেসার্স অনিক ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাজারমূল্যের চেয়ে অস্বাভাবিক দাম দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুদক।

অনুসন্ধান টিমের প্রধান হিসেবে আছেন দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম। অন্য সদস্যরা হলেন- উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান ও শহিদুর রহমান। অনুসন্ধান শেষে এ মামলাটি দায়ের করা হলো।