ভোলায় ওএমএস’র আটার চাহিদা বেড়েছে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নারী-পুরুষ প্রতিদিনই আটা কিনতে যান, ছবি: বার্তা২৪.কম

নারী-পুরুষ প্রতিদিনই আটা কিনতে যান, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভোলায় ওপেন মার্কেট সেল বা সরকারি খোলা বাজারের (ওএমএস) আটার চাহিদা বেড়েছে আগের চেয়ে তিনগুণ। সরকার নির্ধারিত ডিলারের দোকানে প্রতিদিনই খোলা বাজারের আটা কেনার জন্য নারী-পুরুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

জেলা খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য অধিদফতর থেকে পরিচালিত ভোলা পৌরসভার ১০টি ওএমএস পয়েন্টে খোলা বাজারে আটা বিক্রি করা হয়। প্রতিটি ওএমএস পয়েন্টের দোকানে দৈনিক ১০০ জন গ্রাহকের কাছে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে বিক্রির জন্য ৫০০ কেজি করে আটা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আর এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা। সপ্তাহে ৬ দিন এই আটা বিক্রি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সারাবছর এ আটার চাহিদা থাকলেও বর্তমানে এ আটার চাহিদা বেড়েছে তিন গুণ। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ নেই খাদ্য অধিদফতরের।

ক্রেতা আলম, মানিক ও হারুন জানান, ভোলার বাজারের এ আটার দাম ৩০-৩৫ টাকা। কিন্তু আমরা ওএমএস দোকান পয়েন্ট থেকে মাত্র ১৮ টাকা দামে ক্রয় করতে পারি। এতে আমাদের টাকা অনেক বেঁচে যায়। এক জন পাঁচ কেজির বেশি ক্রয় করতে পারে না। যদি আরো বেশি ক্রয় করা যেত তাহলে ভালো হতো।

বিজ্ঞাপন

শাহিদা, আয়েশা, পারভিন ও হাফসানা জানান, বাজারের আটার চেয়ে এ আটা অনেক ফ্রেশ। বাজারের আটার মধ্যে অনেক ভেজাল থাকে। কিন্তু ওএমএস দোকানের আটায় কোনো ভেজাল নেই। এছাড়াও বাজারের চেয়ে দাম কম এবং ওজনও ঠিকমত দেওয়া হয়।

তারা আরো জানান, কম দামে ভালো মানের আটা কিনতে তারা ওই দোকান পয়েন্টে লাইনে দাঁড়ান। এছাড়াও দৈনিক ১০০ জনের বেশি ও জনপ্রতি পাঁচ কেজির বেশি আটা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

অন্যদিকে ভোলা খাদ্য অধিদফতরের অনুমোদিত ময়দার মিল খাঁন ফ্লাওয়ার মিল মালিক মো. জামাল উদ্দিন খাঁন জানান, ভোলার ১০টি ওএমএস দোকানের প্রতিদিন ৫ টন করে আটা সরবরাহ করা হয়। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে কোনো প্রকার ভেজাল ছাড়াই সম্পূর্ণ ভালো ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এ আটা প্রস্তুত করা হয়। ফলে বাজারের আটার চেয়ে ওএমএস’র আটার চাহিদা বেশি।

ভোলা জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৌয়ুবুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মাঝে সুন্দরভাবে এ আটা বিতরণের জন্য আমরা ১০টি ওএমএস ডিলার দিয়েছি। তারা সততার সঙ্গে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে আটা বিক্রি করেন। ওজন ও ভেজাল নিয়ে কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ আটার মান খোলা বাজারের আটার চেয়ে অনেক ভালো। ফলে চাহিদা বেড়েছে তিনগুণ। তবে বাড়তি চাহিদা অনুযায়ী আটা সরবরাহ করা যাচ্ছে না।’