পঞ্চগড় মুক্ত দিবস আজ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, পঞ্চগড়
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আজকের এই দিনে পঞ্চগড় মুক্ত হয় পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে, ছবি: বার্তা২৪

আজকের এই দিনে পঞ্চগড় মুক্ত হয় পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে, ছবি: বার্তা২৪

আজ ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সাড়ে সাত মাস যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় পঞ্চগড়। ফলে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে প্রতি বছরের ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় মুক্ত দিবস পালন করা হয়।

জানা যায়, পাকিস্তানি পাকবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোর রাতের পর সারা দেশে আক্রমণ শুরু করলেও পঞ্চগড় ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মুক্ত থাকে।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় পাকবাহিনীরা সড়ক পথে এসে পঞ্চগড় দখল করে। জেলার দেবীগঞ্জ,বোদা,আটোয়ারী ও সদর থানা দখল করে নিলেও সদর উপজেলার অমরখানা চাওয়াই সেতুটি ভাঙতে না পারায় পাকিস্তানি পাকবাহিনীর সৈন্যরা তেঁতুলিয়ায় প্রবেশ ও দখল করতে সক্ষম না হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় তেঁতুলিয়া পুরোপুরি মুক্ত ছিল। ফলে মুক্ত অঞ্চল হিসাবে তেঁতুলিয়া সকল কর্মকাণ্ডের তীর্থ ভূমিতে পরিণত হয়।

তাছাড়া অস্থায়ী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা তেঁতুলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সেখানে একটি সেতু গেট নির্মাণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযোদ্ধারা ২০-২৮ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা হামলা চালায়। ২৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ঘিরে ধরে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। এরই মধ্য দিয়ে ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা হানাদার মুক্ত হয়।

ওই যুদ্ধে ৪৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং শতাধিক আহত হন।

জেলা তেঁতুলিয়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসনাইল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে জানান, আমরা যুদ্ধ করে ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড়কে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করেছি এবং তাদের বিতাড়িত করেছি।

এদিকে পঞ্চগড় মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলার সরকারি বেসরকারি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনগুলো দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক জানান, পঞ্চগড় মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।