বেগুন চাষে স্বাবলম্বী বর্গাচাষি আশরাফুল

  • মোহাম্মদ রনি মিয়াজী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেগুন গাছ পরিচর্যা করছেন আশরাফুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বেগুন গাছ পরিচর্যা করছেন আশরাফুল ইসলাম, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের তাইয়াগছ এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম। বিভিন্ন আবাদ করে ভালো ফলন না পেয়ে যখন লোকসানের মুখে জর্জরিত, ঠিক তখনি বেগুন চাষ করে লাভের মুখ দেখেন এ কৃষক।

জানা গেছে, তার দেখাদেখি এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক বেগুন চাষ শুরু করেছেন। এসব বেগুন স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরের পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। প্রথমে প্রতি কেজি বেগুন পাইকারি ২৫ টাকা দরে বিক্রি করলেও এখন ১৬-১৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, আশরাফুল ও তার বাবা বাজারে বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে বেগুন সংগ্রহ করছেন।

আশরাফুল ইসলামের বেগুন ক্ষেত

আশরাফুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘৩ বছর পূর্বে বাৎসরিক ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে কেরামত আলী নামে এক বৃদ্ধার কাছ থেকে এক বিঘা জমি বর্গা নেই। সেখানে ফুলকপি, পাতাকপি, লালশাক ও মূলাসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করে লোকসানে পড়ি। পরে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বৈশাখ মাসের শুরুতে পুরো এক একর জমিতে বেগুন চাষ করলে ৩০ শতক জমির বেগুন ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। বাকি জমিতে বেগুনের বাম্পার ফলন হয়। এতে আমি লোকসানের ঘাটতি পূরণ করে লাভবান হয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমার মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত বেগুন বিক্রি করেছি ২ লাখ টাকা। এছাড়া ক্ষেতে যা বেগুন আছে তা বিক্রি করলে আরও কিছু টাকা পাওয়া যাবে।’

ঢাকা থেকে বেগুন ক্রয় করতে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী আ. বারেক বলেন, ‘আমি প্রায় সময় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে বিভিন্ন সবজি ক্রয় করে ঢাকা পাঠাই। এ বছর আশরাফুলের কাছ থেকে পাইকারি দরে বেগুন কিনে ঢাকা পাঠিয়েছি।’

বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বেগুন ওজন করছেন ছেলে আমরাফুল

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘তেঁতুলিয়ায় বিভিন্ন শাক সবজির চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। আশরাফুল ইসলাম বেগুন চাষে লাভবান হয়েছে। এটা আমাদের গর্ব। তাকে আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের সেবা প্রদান করব।’