নাটোরে রাত থেকেই ধর্মঘট, তেল বিক্রি বন্ধ
তেল বিক্রির কমিশন, ট্যাংকলরি ভাড়া বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবিতে আগামীকাল পহেলা ডিসেম্বর থেকে খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয় ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশন। তবে ধর্মঘট শুরুর আগেই নাটোরের শতাধিক পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকরা। ধর্মঘটের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে শহরের বেশ কিছু ফিলিং স্টেশন তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে বিভিন্ন ফিলিং স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এসময় বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তেল ছাড়া বা চাহিদার চেয়ে কম তেল নিয়ে অনেক মোটরসাইকেল চালককে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
যানবাহনের মালিক ও চালকরা অভিযোগ করেন, সংগঠনটির ধর্মঘটের ব্যাপারে সকলে অবহিত নয়। তবুও একদিন আগে জানার পর ফিলিং স্টেশনগুলোতে এলে কর্তৃপক্ষ তেল বিক্রি করতে রাজি হয়নি। হাতেগোনা যেসব ফিলিং স্টেশন তেল বিক্রি করেছে তারা একজন গ্রাহকের নিকট ১০০ টাকার বেশি তেল বিক্রি করেনি। এতে করে মোটরসাইকেলগুলো সামান্য পরিমাণে তেল পেলেও পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাসসহ ডিজেলচালিত যানবাহনগুলো ফিরে গেছে।
ঢাকাগামী রয়েল এক্সপ্রেসের চালক সাবদুল শেখ বলেন, ধর্মঘটের বিষয়টি মাথায় রেখে টাঙ্গাইল থেকে জ্বালানির সংগ্রহ ও মজুদ করব।
শহরের বনলতা ফিলিং স্টেশনের বিক্রয়কর্মী আসাদুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই জ্বালানির চাহিদা বেড়ে গেলে পরিমাণে অল্প তেল বিক্রি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা ফিলিং স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হাবীব আহসান বাবুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।