লাউ চাষে সফল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাদারীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শাহীন রাঢ়ির লাউ ক্ষেত, ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহীন রাঢ়ির লাউ ক্ষেত, ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রায় সারা বছর জলাবদ্ধতা থাকে এবং বন্যা ও বৃষ্টির জন্য যেসব জমি পানিতে ডুবে থাকে, সেসব জায়গায় কলাগাছের ভেলা আর কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করে লাউ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের চরপালরদী গ্রামের মো. শাহীন রাঢ়ি।

প্রায় এক যুগ ধরেই এই কাজ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাচ্ছেন তিনি। অর্থনৈতিকভাবে হয়েছেন স্বাবলম্বী। মেধা আর কঠোর পরিশ্রম করে লাউ চাষের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সবজিও চাষ করে থাকেন। তবে লাউ উৎপাদন করেন সারা বছরই। প্রথম দিকে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে লাউ উৎপাদন করে লোকসান হলেও পিছিয়ে যাননি মো. শাহীন রাঢ়ি।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, পরিবারের ৭ জন সদস্যের মধ্যে তিনিই সংসারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সারা বছরই কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। নানা ধরনের সবজি চাষ করে বছরে প্রায় ২ লাখের বেশি টাকা আয় করেন। সংসার গোছানোর পাশাপাশি তার এ আয়ের টাকায় এক ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, শাহীন রাঢ়ি শুধু লাউ চাষই করেন না তিনি লালশাক, আলু, বেগুন, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া প্রভৃতি সবজিও উৎপাদন করেন। তবে লাউ চাষের প্রতি রয়েছে তার অধিক আগ্রহ। কারণ এ সবজি প্রায় সারা বছরই উৎপাদন করা যায়। এতে লাভও হয় অনেক বেশি।

বিজ্ঞাপন
এক বিঘা জমিতে লাউ চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা

স্থানীয় আবুল কালম আজাদ বলেন, শাহীন রাঢ়ির এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে যথেষ্ট লাভ হওয়ার কারণে আমাদের এলাকার অনেক কৃষকদের মধ্যে দিন দিন এ পদ্ধতিতে লাউ চাষের আগ্রহ বাড়ছে।এছাড়া কম জমিতে বেশি ফসল আবাদ সম্ভব হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) কথা হয় শাহীন রাঢ়ির সাথে। তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে লাউ চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।

তিনি আরো বলেন, 'আমার এ সফলতার পেছনে রয়েছে উপজেলা ও জেলা কৃষি অফিসের ব্যাপক অবদান। তাছাড়া একমাত্র ইচ্ছা আর কঠোর পরিশ্রমই যেকোনো লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হতে পারে শুধু তাই নয়, কঠোর পরিশ্রমী ও স্বাবলম্বী হওয়া যায়, সেটা আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি'

মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক জিএমএ গফুর জানিয়েছেন, শাহীন রাঢ়ির মত জেলার কিছু কৃষক নিয়মিত আমাদের সাথে যোগাযোগ করে লাউ চাষের এ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারনা নিয়েছেন। আমরা সব সময় তাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকি।