চুয়াডাঙ্গায় চালের বাজারে অস্থিরতা, ভোগান্তিতে ক্রেতা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চালের বাজার, ছবি: বার্তা২৪.কম

চালের বাজার, ছবি: বার্তা২৪.কম

পেঁয়াজ ও লবণের পর গত কয়েকদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গার চালের বাজারে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি প্রায় ৭-১০ টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতি মণে চালের দাম বেড়েছে ৮০ থেকে ৩২০ টাকা। এদিকে চালের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

চালকল মালিকদের দাবি, ধানের হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির কারণে চাল উৎপাদনের খরচও বেড়ে গিয়েছে। প্রতি মণ মোটা ধান ৬০ থেকে ৮০ এবং সরু ধান ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। চাল উৎপাদনের পর খরচ সমন্বয় করতে গিয়ে দাম বাড়াতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গা শহরের স্টেশনসংলগ্ন চালপট্টি ও বড়বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরু চালের দাম ২৫ কেজির বস্তায় ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে মিনিকেট বিক্রি হতো ৯৫০ টাকা, তা এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১৫০ টাকায়। বাসমতী প্রতি বস্তা বিক্রি হতো ১ হাজার ৫০ টাকা, তা এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা। ব্রি-২৮ পুরনো আগে বিক্রি হতো ৮৫০ টাকা, তা বেড়ে এখন হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা। মোটা চাল হিসেবে পরিচিত স্বর্ণা (৫০ কেজির বস্তা) আগে ১ হাজার ২৫০ টাকা, বর্তমানে ১ হাজার ৩৫০ এবং খাটোবাবু আগে ১ হাজার ৪০০, বর্তমানে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ

চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার চালপট্টিতে খুচরা দোকানগুলোতে পাইকারি বাজারের তুলনায় কেজি প্রতি চাল এক থেকে দেড় টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সরোজগঞ্জ মোকামের চাল উৎপাদনকারী জহুরুল ইসলাম জানান, গত দুই থেকে তিন সপ্তাহে ধানের দাম প্রতি মণে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাড়তি দামে ধান কিনে কম দামে চাল বিক্রি সম্ভব নয়।

চাল ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার চলতি আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের ঘোষণা দেওয়ার পর বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুল্লাহ জানান, প্রতিবছরই এ সময় চিকন চালের মূল্যবৃদ্ধি পায়। তবে মোটা চালের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই আছে।