জামালপুরে সন্ধ্যা হলেই হাতি আতঙ্কে সীমান্তের মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
রাত হলেই পাহাড় থেকে হাতিরা নেমে আসে, ছবি: সংগৃহীত

রাত হলেই পাহাড় থেকে হাতিরা নেমে আসে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্ত এলাকায় সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে বন্য হাতি। বিচরণ করে পুরো সীমান্তে। বিশেষ করে নভেম্বর ও ডিসেম্বরের এই বন্য হাতির বিচরণ অন্যান্য মাসের তুলনায় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

গত ১ সপ্তাহ ধরে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া পাড়ি দিয়ে শতাধিক বন্যহাতির একটি পাল বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থান করছে। বন্যহাতির প্রবেশের কারণে বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কামালপুর ইউনিয়নের সোমনাথপাড়া, গাঢ়োপাড়া, টিলাপাড়া, যদুরচর, সাতানীপাড়া ও মীর্ধাপাড়াসহ ৬ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নির্ঘুম রাত যাপন করছেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাহাড়ে অবস্থান নিলেও সন্ধ্যা হলেই লোকালয়ে নেমে আসছে হাতির পালটি। নষ্ট করছে আমন ধান। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। হাতির প্রবেশ ও ফসল নষ্ট করা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ অনেক আগে থেকেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে তাদের গেট খুলে দেয়। এতে সহজেই হাতির পালগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। পরে তারা সেই গেটটি বন্ধ করে দেয়। সারারাত হাতির দল বাংলাদেশের জনবসতিতে তাণ্ডব চালায়। ভোরের দিকে আবারও গেটটি খুলে দেয় বিএসএফ।

কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। গত ৭দিন যাবত ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার পাশের গেটগুলো বন্ধ করে রেখেছে বিএসএফ। ফলে হাতিগুলো আর ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে দিনরাত সমানতালে তাণ্ডব চালাচ্ছে বন্যহাতির দলটি। এর মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে হাতির প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য সীমান্তে ফ্ল্যাড লাইটের ব্যবহারের পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতা ও আলো সম্বলিত বাতি ব্যবহার করছে ভারতীয় অংশের সাধারণ মানুষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭দিন যাবত ভারতীয় বন্য হাতির দলটি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের লোকালয়ে রয়েছে। এদিকে হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে স্থানীয় লোকজন জেনারেটর ব্যবহার করে উচ্চ আলো সম্বলিত বাতি ব্যবহার করলেও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, হাতির দল তাড়ানোর বিষয়ে আমাদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। কিছু বৈদ্যুতিক তার ছড়ানো হয়েছে কিন্তু বিদ্যুতের অভাবেই সেগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এছাড়া একটি জেনারেটর থাকলেও জ্বালানির অভাবে সেটিও অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গেট খোলার কারণেই এইসব হাতি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। কিন্তু হাতি ফেরত যাবার সময় আর গেটগুলো খুলে না দেওয়ায় হাতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই অবস্থান করছে।

অলিতা সাংমা নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে কেরাসিন তেলের মাধ্যমে গোলক, টিন দিয়ে শব্দ তৈরি করে হাতি তাড়ানো হয়ে থাকলেও বর্তমানে এই পদ্ধতি অকার্যকর হয়েছে। এখন হাতিগুলো আগুন দেখলেই আরও হিংস্র হয়ে তেড়ে আসে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেই হাতি তাড়ানোর কোনো পদক্ষেপও দেখা যায়নি।’

এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আ.স.ম জমশেদ খন্দকার হাতির অবস্থানের এলাকা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত এলাকায় মানুষ অত্যন্ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিজেল সরবরাহ করেছি। এছাড়া উচ্চ শব্দের কিছু পটকা ও গোলক বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হাতি এখন লোকালয়ে এসে গেছে। আমরা প্রশাসন এই বিষয়ে অবগত। আমরা সর্বোচ্চ মহলকে জানিয়েছি। গত দু দিন আগে একজন হাতির তাড়া খেয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা গেছেন। আমরা দ্রুত সীমান্ত বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;