কুমিল্লায় ইন্সপেক্টরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন, ছবি: সংগৃহীত

কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন, ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার এক হোটেল ব্যবসায়ীকে থানায় আটকে দেড়কোটি টাকার চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিনসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এই মামলার দ্বিতীয় আসামি হলেন নগরীর মনোহরপুর উজির দীঘির পাড় এলাকার মৃত রতন মিয়ার ছেলে মেসার্স এম আলমের মালিক মো.মাহাবুব আলম।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন মনোহরপুর সদর হাসপাতাল রোড এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।

আদালতের বিচারক জালাল উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

বাদী মহিউদ্দিনের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসার প্রয়োজনে মহিউদ্দিনের (তৃতীয় পক্ষ গ্যারান্টার) জমি বন্ধক রাখে চাচাতো ভাই মাহাবুব আলম (মামলার দ্বিতীয় আসামি)। ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে সময় মতো ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় অর্থ ঋণ আদালতে মাহাবুবের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যাংক। মামলা করার পর থেকে আসামি মাহাবুব মহিউদ্দিনের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের চেষ্টা করলে ব্যাংকের আদেশ ছাড়া কোনো টাকা দিবেন না জানান মহিউদ্দিন।

পরবর্তীতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. সালাহউদ্দিন এবং আসামি মাহাবুব আলম যোগসাজশে টাকা আদায়ের উদ্দেশে চলতি বছরের ৩ আগস্ট রাত ১০টার সময় ৩-৪ জন পুলিশ সদস্য দোকান থেকে মহিউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে থানায় নিয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিনের রুমে আটক রাখে। চেক বই না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে ভয় দেখায় এবং একপর্যায়ে চাপ প্রয়োগ করে। হুমকির মুখে পড়ে (শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, হিসাব নম্বর- ০০১১১০০০০০০৩৫, চেক নম্বর- ০০০০০২২) ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা লিখতে বাধ্য হয়। এরপর পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন নিজ হাতে চেকটি নিজের কাছে গ্রহণ করেন। এছাড়া সাদা কাগজে মহিউদ্দিন এবং উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন।

ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন বলেন, আইন অনুসারে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এটা করতে পারেন না। ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর আমি অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

এই অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.সালাহউদ্দিন জানান, চেকের সমস্যা বাদীর চাচাতো ভাই মাহাবুবের সঙ্গে। এখানে আমি জড়িত নয়। মামলার বিষয়ে এখনও আমি আদালত থেকে কোনো কাগজপত্র পাইনি।

এদিকে, অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে মামলার দ্বিতীয় আসামি মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।