কৃষকের ১৫ টাকার ফুলকপি বাজারে ৭০ টাকা
বেশ কিছু দিন ধরেই যশোরের বাজারে শীতকালীন শাকসবজি আসতে শুরু করেছে। তবে সবজির দাম অত্যন্ত চড়া। কিন্তু কৃষকদের কাছ থেকে খুব অল্প দামেই এসব সবজি কিনছে ফড়িয়ারা।
জানা গেছে, যশোর সদরের চাঁচড়া, আরবপুর, চুড়ামনকাটি, হৈবতপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ফসলের ক্ষেতে সারা বছরই সবজির চাষ করা হয়।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যশোরের বড়বাজার, রেলবাজার, চাঁচড়ামোড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি নতুন আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আর পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। বেগুন ৬০ টাকা কেজি, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতিটি সবজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে।
চীন থেকে আনা পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, মিশর থেকে আনা একটু ভালো মানের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের দাম ২২০ টাকার উপরে। পেঁয়াজের পাতার দাম ২০০ টাকার উপর।
এদিকে সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে বেড়েছে ভোজ্য তেল ও চালের দামও। সয়াবিন তেলের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরের সয়াবিন তেলের দাম এখন ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় এসে ঠেকেছে। চালের বাজার দর অনেকটাই বেড়ে গেছে। ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরের সরু চাল এখন ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
যশোর সদরের চাঁচড়া ইউনিয়নের সাড়াপোল গ্রামের হরিনা বিলের কৃষক আতাউর রহমান জানান, তারা ক্ষেত থেকে প্রতি কেজি ফুলকপি, পাতা কপি পাইকারি ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে তা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
মসলেম উদ্দীন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজি রয়েছে। এরপরও দাম বেশি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা শাখার সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তারপরও কিছু অসাধু ফড়িয়ারা সংঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশ করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযান চলমান রয়েছে।