ধর্মঘট স্থগিত, পেট্রোল পাম্পে তেল বিক্রি শুরু
পনের দফা দাবিতে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর থেকে তেল বিক্রি শুরু হয়েছে। যার ফলে স্বস্তি ফিরে এসেছে পরিবহন মালিক, শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা একটার পর ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্তে রংপুর মহানগরীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল বিক্রি শুরু হয়। ফলে পাম্পগুলোতে ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহনের ভিড় লাগে তেল নিতে।
নগরীর শাপলা চত্বরে মেসার্স ইউনিক ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নেতারা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করেছে। এখন আমরা তেল বিক্রি করছি। গ্রাহকরা আর কোন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে না।’
স্টেশন রোড ছালেক পাম্পে তেল নিতে আসা মাইক্রোবাস চালক আব্দুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘তেলের অভাবে দুইদিন গাড়ি চালাতে পারিনি। আজ ধর্মঘট স্থগিত হওয়ায় গাড়িতে বেশি করে তেল নিচ্ছি।’
এদিকে ধর্মঘট স্থগিতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর সড়ক জুড়ে আবারও যান চলাচল বেড়েছে। মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও মিনিবাসের চালক ও মালিকদের তেল সরবরাহ করতে দেখা গেছে।
ধর্মঘট প্রত্যাহারে স্বস্তি ফিরে এসেছে চলতি রবি মৌসুমে বোরোর বীজতলাসহ আলু, তামাক, সরিষাসহ শীতকালীন সবজি চাষাবাদ সেচ নিয়ে চিন্তিত কৃষকদের মধ্যে। অনেক কৃষককে পাম্প থেকে বেশি পরিমাণে ডিজেল ক্রয় করতেও দেখা যায়।
অন্যদিকে ধর্মঘট স্থগিতের পর থেকে রংপুরের ৮৫টি পাম্পসহ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন শুরু হয়েছে। ট্যাংকলরি পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা কাজে ফিরছে।
রংপুর বিভাগীয় দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিক হোসেন মংলা জানান, দুপুরের পর থেকে শ্রমিকরা ডিপো থেকে জ্বালানি সরবরাহে অপেক্ষা করছে। আজ বিকেলের মধ্যে তেল সরবরাহ ও পরিবহন স্বাভাবিক হবে।
এ সময় তিনি বলেন, সরকারের আশ্বাসে আপাতত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ না নেয়া হলে পরবর্তীতে সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।