বেনাপোল বন্দরে পচনশীল খাদ্যদ্রব্য আমদানি বন্ধ
বৈধ পণ্য চালানের সঙ্গে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বেশি পণ্য আমদানির অভিযোগে তিনদিন আগে ৯ ট্রাক পানপাতা আটক করে বিজিবি। এর জের ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সেদিন থেকে পচনশীল কাঁচামাল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
আমদানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানের শিকার হচ্ছেন তেমনি সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিন দিন আগে বিজিবি সদস্যরা বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে খালাস হওয়া ৯ ট্রাক পানপাতার একটি চালান যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক থেকে আটক করেন।
এ সময় কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায় আটক পণ্যের চালানে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ঘোষণা ছাড়া অতিরিক্ত পণ্য নেওয়া হয়েছে। পরে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস র্কতৃপক্ষের কাছে পণ্য চালানটি হস্তান্তর করা হয়।
আমদানিকারক উজ্বল বিশ্বাস বলেন, এ পথে দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামাল আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি কিছু কিছু পণ্য আমদানি হচ্ছে। এসব পচনশীল পণ্য গন্তব্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই সামান্য কিছু পণ্য বেশি আনা হয়। এতটুকু সুবিধা না পেলে বৈধ পথে আমদানি করা সম্ভব না।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখলেও রাস্তায় বিজিবি সদস্যরা তা আটকে মামলা দিয়ে আমদানিকারকদের হয়রানি ও লোকসানের মুখে ফেলছেন। এ কারণে আমদানিকারকরা খাদ্যদ্রব্য জাতীয় কাঁচামালের আমদানি আপাতত বন্ধ রেখেছেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি শাখার ট্রাফিক পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে গত তিন দিন ধরে এ বন্দর দিয়ে খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পচনশীল পণ্য আমদানি হচ্ছে না। বর্তমানে বন্দরে ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা যদি পণ্য আমদানি করেন তবে সেগুলো খালাসের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪শ’ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্যের মধ্যে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক মাছ, পানপাতা, আপেল, লেবু ও টমেটোসহ বিভিন্ন পচনশীল খাদ্যদ্রব্য থাকে। প্রতিদিন এসব পণ্য থেকে সরকারের প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আসে।