বঙ্গবন্ধু সেতুর ওয়ার্নিং লাইটগুলো নষ্ট, সচলের উদ্যোগ নেই



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু সেতুতে স্থাপিত এয়ারক্রাফট ওয়ার্নিং লাইট (এডাব্লিউএল) বছরের পর বছর নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও সেগুলো সচলের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ঝুঁকি নিয়ে রাত-দিন সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করছে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারসহ আকাশপথের পরিবহনগুলো। সেতুতে স্থাপিত ৪৯টি এয়ারক্রাফট ওয়ার্নিং লাইটের মধ্যে ৪৭টিই অচল। সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

এ ছাড়াও সেতুর নিচে লাগানো ৬৫টি নেভিগেশন লাইটের অনেকগুলো লাইট নষ্ট হয়ে রয়েছে। এতে করে রাতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছে নৌ যান। এ বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের দাবি, বারবার অকেজো লাইটগুলোর বিষয়ে পিজিসিবিকে অবহিত করা হলেও কার্যকর কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

জানা গেছে, দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে সঙ্গে গ্যাস যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বঙ্গবন্ধু সেতু। সেতুর নিচে ও ওপরের লাইটগুলো এভাবে নষ্ট থাকলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে সেতু সংশ্লিষ্টরা। সেই সঙ্গে সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতু।

বঙ্গবন্ধু সেতুর ৪৯টি এয়ারক্রাফট ওয়ার্নিং লাইটের মধ্যে ৪৭টি নষ্ট

বিগত সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কয়েক বছর যাবত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না হওয়ায় বর্তমানে এর দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, সেতুর ওপরে লাগানো ৪৯টি এয়ারক্রাফট ওয়ার্নিং লাইটের মধ্যে ৪৭টিই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, জ্বলছে মাত্র দুইটা। আর সেতুর নিচের অংশে লাগানো ১৯৮টি নেভিগেশন লাইটের মধ্যে ৩০-৫০টি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এর ফলে যে কোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা জানা সত্ত্বেও সেতু কর্তৃপক্ষ লাইটগুলো সচল করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

সত্যতা স্বীকার করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে স্থাপিত এয়ারক্রাফট ওয়ার্নিং লাইটগুলো মেরামতের দায়িত্ব পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। তাদেরকে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) থেকে বারবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

পিজিসিবি’র প্রধান কার্যালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার (পিআরও) এ.বি.এম বদরুদ্দোজা খান বলেন, লাইটগুলো বন্ধ থাকলেও তা সেতুর জন্য ঝুঁকি না। তারপরও সেখানে যে লাইটগুলো আছে সেগুলো মানুষকে পথ দেখানো নয়, সেটা মূলত ইন্ডিকেটর হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এ বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ কোনো চিঠি দিয়েছে কিনা সেটা জানা নেই।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;