ভোলায় ৭ জ্বিনের বাদশা গ্রেফতার
জ্বিনের বাদশা সেজে প্রতারণার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শারমিন জাহান বলেন, জ্বিনের বাদশা সেজে প্রতারণার ঘটনায় ভোলা থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার সেন্টার।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সিআইডি প্রধান মোস্তফা কামাল এই ৭ জ্বিনের বাদশার প্রতারণার কথা জানান।
গ্রেফতার সাত জ্বীনের বাদশা হলেন- মো. সুমন ফকির (২০), মো. মুনসুর আহমেদ (২৫), মো. হাছনাইন ফকির (২০), মো. হাবিবুল্লাহ (৩২), মো. লোকমান ভুইয়া কাজী (২৭), মো. রিয়াজ উদ্দিন (৩৪) (বিকাশ এজেন্ট) ও মো. ফজর আলী জোমাদার বাড়ি (৩৬)।
বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল বলেন, ভুক্তভোগী শাহিনা আক্তার একটি মাধ্যমে নম্বর পান। যে নম্বরে ফোন দিলে সব সমস্যার সমাধান করে দেয়া হবে। তিনি ওই নম্বরে ফোন করেন এবং ফোন করলে তাকে বলা হয় আমাদের সেবা নেয়ার আগে দুই হাজার ১০০ টাকা দিয়ে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। শাহিনা আক্তার তাদের কথামতো রেজিস্ট্রেশন করেন। রেজিস্ট্রেশন করার পর জ্বিনের বাদশা টেলিফোনেই হাজির হাজির হন। হাজির হওয়ার পরে ভুক্তভোগীর এক একটি সমস্যার কথা শোনেন এবং এক একটি সমস্যা সমাধানের জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।
তিনি বলেন, টাকা দাবির পর ৭টি বিকাশ নম্বর ভুক্তভোগীকে দেয়া হয়। ৭টি নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে ৩ মাসে ভুক্তভোগী ওই নারী ২৫ লাখ টাকা লেনদেন করেন। ২৫ লাখ টাকা দেয়ার পর আরও টাকা দেয়ার জন্য পাশের বাসার প্রতিবেশীর কাছে টাকা ধার চাইতে গেলে বিষয়টি তখন ওই নারীর ছেলে জানতে পারে। এরপর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। হাতিরঝিল থানার মামলা তদন্ত করে জ্বিনের বাদশার সন্ধায় পাওয়া যায় ভোলা জেলায়। এরপর তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ৭ জন ২৫ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও ভুক্তভোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।