ধান ক্রয়ে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন, খুশি কৃষক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
লটারির মাধ্যমে হচ্ছে কৃষকের ভাগ্য নির্ধারণ, ছবি: বার্তা২৪.কম

লটারির মাধ্যমে হচ্ছে কৃষকের ভাগ্য নির্ধারণ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যায্যমূল্যতো অনেক দূরের কথা সরকারের কাছে বিক্রির মাধ্যমে ধানের নূন্যতম দাম পেতে গুদাম পর্যন্ত পৌঁছানোই দুরূহ ছিল উত্তরের জেলা নাটোরের কৃষকদের জন্য। ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের এক শক্তিশালী সিন্ডিকেটের অদৃশ্যহাত নিয়ন্ত্রণ করতো ধানের বাজার। তাই চলতি আমন মৌসুমে জেলার কৃষকদের কাছে প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ছিলো ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত করা।

ন্যায্যমূল্যের অন্তরায় মধ্যস্বত্বভোগীদের (দালাল) দৌরাত্ম বন্ধে জেলার কৃষকদের কাছ থেকে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে আমন ধান ক্রয় করতে শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নাটোর সদর উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের শংকরভাগ কলেজ মাঠে ধান ক্রয়ের জন্য কৃষকদের নির্বাচিত করতে উন্মুক্ত লটারি সম্পন্ন হয়।

উন্মুক্ত লটারিতে খুশি কৃষক। 

জানা যায়, প্রতি মৌসুমে বাজারে ধানের দাম না থাকায় লাগাতার লোকসান দিয়ে আসছেন কৃষকরা। লোকসান পূরণ করার লক্ষ্যে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি মূল্যে ধান ক্রয় করার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হচ্ছে কৃষকদের।

সদর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কৃষি ও খাদ্য বিভাগ আয়োজিত লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন অনুষ্ঠানে নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদুল ইসলাম, সদর এলএসডি ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, বড় হরিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি ভুইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৯ হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় উৎপাদিত মোট আমন ধানের মধ্যে ৮ হাজার ৫৯৬ মেট্রিক টন ধান কিনবে সরকার। এ লক্ষে ৭টি উপজেলায় পৃথক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সদর এলএসডি ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রতিকেজি ২৬ টাকা দরে সদর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ থেকে মোট এক হাজার ৩২৮ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী সাড়ে ছয় হাজার কৃষকের মধ্য থেকে উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে ২২২ জন কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে।

এদিকে, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কৃষকরা তাদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে পরিচিতি নম্বর স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে জমা দিয়ে লটারীতে অংশগ্রহন করেন। উন্মুক্ত পদ্ধতির এই লটারি আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।

বড় হরিশপুর ইউনিয়নের জাঠিয়ান গ্রামের নাসিম উদ্দীন বলেন, গোলায় ধান তুললেই সিন্ডিকেটের লোকজন এসে উপকরণ সহায়তা কার্ড নিয়ে যেতেন। কৃষক হিসেবে আমার ধান বিক্রির নিশ্চয়তা থাকতো না। এখন আমরা আশ্বস্ত।

শংকরভাগের আমেনা বেগম বলেন, লটারির মাধ্যমে ধান বিক্রি শুরু হওয়ায় অন্তত এই আশাটুকু করছি যে, ভাগ্যে থাকলে নিজের ধান নিজেই বিক্রি করবো।

নারানগাছি গ্রামের করিম মন্ডল বলেন, এবার লটারির মাধ্যমে ধান বিক্রি সুযোগ নিয়েছি। বছরের পর বছর রাজনৈতিক নেতারা যোগসাজশ করে আমাদের হক নষ্ট করেছে। সরকার আগামীতে এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে কৃষক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবে।

পিরজিপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, ধানের সিন্ডিকেট ভাঙ্গছে লটারির মাধ্যমে। কোনো নেতা কার্ড নিয়ে কৃষকের পরিবর্তে নিজের ধান বিক্রি করতে পারবে না। এতে কৃষকরা খুশি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষকদের আস্থা ফেরাতে ইউনিয়ন পর্যায়ে গিয়ে লটারির ব্যবস্থা করা হয়ছে। উন্মুক্ত লটারি পদ্ধতিতে কৃষকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এতে প্রকৃত কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পেয়ে উপকৃত হবেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ বলেন, আমরা কৃষকদের ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চাই। তাই লটারির মাধ্যমে প্রশাসন কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে ধান কিনছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অসাধু মধ্যস্বত্বভোগীদের মূল উৎপাটন করাও সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার পৌরসভা ও অন্যান্য ইউনিয়নেও উন্মুক্ত লটারি সম্পন্ন করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;