৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ

৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় জেলাটি।

প্রায় ৯ মাস যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের একমাত্র যোগাযোগ সেতু মাথাভাঙ্গা ব্রিজে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় পাকিস্তানি সেনারা। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে পাকিস্তানি সেনাদের ঘাঁটি স্থাপন করার পরিকল্পনা করে তারা।

বিজ্ঞাপন

এ খবর মুক্তিবাহিনী জানতে পারলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী। জেলা থেকে বিতারিত করা হয় তাদের। ৭ ডিসেম্বর সকালে বিজয়ের বেশে চুয়াডাঙ্গায় প্রবেশ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। স্বদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ উল্লাস করেন এলাকার মুক্তিকামী মানুষ।

তবে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত চুয়াডাঙ্গায় কোনও স্মৃতিসৌধ নেই। ১৯৯৪ সালে শহীদ হাসান চত্বরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও তা অবৈধ স্থাপনা হিসেবে ২০০১ সালে ভেঙে ফেলা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ জেলার মুক্তিযোদ্ধারা মনে করেন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতা সম্পর্কে জানাতে স্মৃতিস্তম্ভের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে পতাকা উত্তোলন ও শহীদ হাসান চত্তরের শহীদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।